১৯৮৯ সালে দেশটির নাম ইউনিয়ন অব বার্মা থেকে ইউনিয়ন অব মিয়ানমারে পরিবর্তন করা হয়। বার্মা নামটি এসেছে দেশটির সর্ববৃহৎ সম্প্রদায় ‘বামার’ থেকে। নাম থেকেই বোঝা যায় যে সাম্প্রদায়িকতা দেশটির রন্ধ্রে রন্ধে মিশে আছে।
আজকের মিয়ানমার বা পূর্বের বার্মা এককালে একাধিক ছোট ছোট স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। ১০৪৪ সালে রাজা অনরথ পাগান নামক রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসেন। তিনিই প্রথম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে একটি একচ্ছত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং পাগান প্রদেশটি হয় তার রাজধানী। রাজা অনরথের রাজত্বকালকে স্বর্ণকাল বলা চলে। বৌদ্ধধর্মে অতিমাত্রায় অনুরক্ত এই রাজা শহরজুড়ে অনেক মন্দির ও প্যাগোডা নির্মাণ করেন, শিল্প, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় অনেক সমৃদ্ধ হয় এই রাজত্ব। তবে রাজতন্ত্রে বেশিদিন রাজ্য টিকিয়ে রাখাটাও এক অনিশ্চিত ব্যাপার। ত্রয়োদশ শতকের শেষের দিকে পাগান রাজত্ব ভেঙ্গে পড়ে।
একদিক থেকে ‘শন’ ও আরেকদিক থেকে ‘মোঙ্গল’ জাতি পাগান সাম্রাজ্য দখল করে এবং একে ভেঙ্গে পুনরায় ছোট ছোট রাষ্ট্রে পরিণত করে। চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি দেশটি চারটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে- উচ্চ বার্মা (Upper Burma), নিম্ন বার্মা (Lower Burma), শন প্রদেশ ও আরাকান প্রদেশ। এসব প্রদেশের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকতো। ১৬৩৫ সালে রাজা থালুন বিশৃঙ্খল অঞ্চলগুলোর দখল নিয়ে দেশটিকে একক সীমারেখার ভেতর নিয়ে আসেন। তার অধীনে বার্মায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে এবং তা দীর্ঘদিন বিরাজ করে। তবে এর পরও যুদ্ধ বিগ্রহ থেমে থাকেনি। পরবর্তী রাজবংশগুলো ক্ষমতার সাথে যুদ্ধেরও উত্তরাধিকারিতা লাভ করে। পরবর্তী সময়ে কংবং রাজবংশের রাজা বোধপায়া ও তার নাতি অলংপায়া সফল শাসক হিসেবে বার্মার ইতিহাসে স্মরিত হন।
তবে নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বার্মায় কখনোই বিরাজ করেনি। এরুপ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিতে দখলবাজ ব্রিটিশরাও ভুল করেনি। ৬০ বছরে ৩টি অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পরে ১৮৮৬ সালে বার্মাকে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের একটি অংশ হিসেবে জুড়ে নেয়া হয়। ব্রিটিশরা তাদের ‘Divide and Rule’ নীতি বার্মা শাসনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগায়। বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত বার্মার জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়গুলোর লোকজনকে বেশি করে সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনে নিয়োগ দিতে থাকে। সংখ্যালঘুদের বিড়ম্বনার শুরু সেখান থেকেই। গত শতাব্দীর বিশের দশকে বার্মার সুশীল সমাজ ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রথম ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। সংসার বিরাগী ভিক্ষুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যোগদানের শুরুটাও সম্ভবত তখন থেকেই। ১৯৩৫ সালে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের যোগদানে এই আন্দোলন আরও সক্রিয় ও গতিশীল হয়।
এই সময় অং সান নামে এক তরুণের উত্থান হয়। তিনি ছিলেন আইনের ছাত্র, একই সাথে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটি সদস্য ও ম্যাগাজিন সম্পাদক। পরবর্তী বছরগুলোতে কিছু সফল ছাত্র ধর্মঘট ও প্রাণবন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে অং সান পুরো জাতির সমর্থন অর্জন করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে এক নতুন রাজনৈতিক দলের সাথে যোগ দেন। অং সানকে বার্মিজ জাতীয়তাবাদী প্রথম নেতা বলা যায়। তিনি সমাজতন্ত্রকে বার্মায় চলমান অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হিসেবে বিবেচনা করতেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অং সান বুঝলেন বার্মার স্বাধীনতা আদায়ের এটাই মোক্ষম সময়। ২৯ জন সহচরকে নিয়ে অং সান জাপানে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিলেন। এরা ‘থার্টি কমরেডস’ নামে পরিচিত ছিলেন। জাপানিজরা অং সানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা ব্রিটিশদের পরজিত করতে সক্ষম হলে তারা বার্মার স্বাধীনতা হস্তান্তর করবে। জাপানিজদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অং সান ও তার সহযোগীরা বার্মা আক্রমণ করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছেন। কিন্তু ক্রমে অং সান বুঝলেন যে জাপানের প্রতিশ্রুতি শুধুই বুলিসর্বস্ব। তৎক্ষণাৎ তিনি পক্ষ পরিবর্তন করে জাপানকে পরাজিত করার জন্য ব্রিটিশদের সার্বিক সহযোগিতা দেবার চুক্তি করলেন। শর্ত সেই একই থাকলো, বার্মার পূর্ণ স্বাধীনতা। অং সানের পেছনে বার্মাবাসীর প্রবল সমর্থণ ছিল। যদিও কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে তিনি বিতর্কিত ছিলেন, তবুও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করতেন ও সমগ্র বার্মার অধিবাসীদের মধ্যে একতা স্থাপনের চেষ্টা চালাতেন। নিঃসন্দেহে যেকোনো দেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে জরুরী বিষয়।
ব্রিটিশদের প্রশ্রয়ে বার্মার রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। অং সানের গঠিত দল এএফপিএফএল (AFPFL) ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। বিরোধী দল স, মাও ও তুন এর যুক্তফ্রন্ট এই নির্বাচন বয়কট করে। বিজয়ী দলের প্রধান হিসেবে অং সান বার্মার জন্য নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। কিন্তু নবগঠিত সরকারের সকল সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় ১৯৪৭ সালের ১৯ জুলাই। এই দিন কার্যকরী পরিষদের একটি অরক্ষিত সভায় অং সানের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দী স-এর একদল মেশিনগানধারী ঢুকে অং সানসহ পরিষদের সাতজন সদস্যকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। স ও তার সহকর্মীদের গ্রেফতার করা হয় এবং এদিকে অং সানের ক্যাবিনেটের এক সদস্য ইয়ু ন্যু কে অং সানের শূন্যস্থানে বসানো হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বার্মা শেষমেষ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়।
১৯৪৮ সালের সংবিধানে বার্মার অনেক সম্প্রদায় ও তাদের অধিকার গুরুত্ব লাভ করেনি। যার ফলে পরবর্তী ১০ বছর তুমুল গৃহযুদ্ধ বার্মার রাজনৈতিক জীবন সংঘাতময় করে রাখে, অর্থনীতিতেও ধ্বস নামে। এমন অবস্থায় দেশে আইন ও শৃঙ্খলা পুনর্বহালের জন্য ১৯৫৮ সালে জেনারেল নে উইন এক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ইউ ন্যুকে অপসারণ করেন। সমগ্র দেশের ভার নিয়ে নে উইন সার্থকভাবে সকল সম্প্রদায়কে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুগামী হতে বাধ্য করেন। তার সরকারের অধীনেই ১৯৬০ সালে ইউ ন্যু পুনঃনির্বাচিত হন। কিন্তু মাত্র দু’বছর পরেই নে উইন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বার্মার সামরিক একনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। নে উইন পূর্বের সংবিধান বাতিল করে স্বৈরাচারী সামরিক শাসন চালু করেন। কমিউনিস্ট ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর বিদ্রোহের সশস্ত্র দমনের উপর পূর্ণ মনোযোগ দেয়া হয়। বার্মীজদের সামাজিকীকরণের নামে বাইরের দুনিয়া থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করা হলো। কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বিদেশীবিদ্বেষী ও নির্দয় নে উইন পরবর্তী তিন দশকে একটি উন্নয়নশীল দেশকে পরিবেশ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি সবদিক দিয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সশস্ত্র বিদ্রোহ রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
১৯৮৮ সালের জুলাইয়ে হঠাৎ নে উইন ঘোষণা দেন যে তিনি ক্ষমতা ছাড়ছেন। এতদিনের সামরিক শোষণ, নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক অবনতি হতে মুক্তির আশা দেখে রেঙ্গুনের রাস্তায় জনতার ঢল নামে। কিন্তু ৮ জুলাই সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেনাবাহিনী রাস্তায় জমা নারী পুরুষ ও শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। চারদিন ধরে চলা এ হত্যাযজ্ঞে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়। হাজারে হাজারে ছাত্র ও গণতন্ত্রকামী মানুষ সীমান্তবর্তী এলাকায় পালিয়ে যায়।
ঠিক এই অশান্ত অবস্থাতেই বার্মার স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সানের কন্যা বিদেশে অবস্থানরত অং সান সু কি অসুস্থ মাকে দেখতে দেশে আসেন। সময়ের প্রয়োজনে তিনিও রাজনীতিতে পা রাখেন। এ সময় আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে সামরিক সরকার এক বহুদলীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। সমমনাদের নিয়ে গঠিত সু কির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD) দেশব্যাপি জনপ্রিয়তা লাভ করে। সু কির জনপ্রিয়তার ফলাফল টের পেয়ে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৯০ সালের ২৭ মে প্রতিশ্রুত নির্বাচনে সু কির দল ৮২% ভোট পেয়ে জয়ী হয়, কিন্তু সামরিক সরকার সে ফলাফল গোপন রেখে ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।
২০০২ সালে সু কিকে মুক্তি দেয়া হলেও ক্ষমতা সামরিক সরকারের হাতেই থাকে। টানা একনায়কতন্ত্রের ফলে গৃহযুদ্ধ, মানবেতর জীবন, সংঘাত, রক্তপাত, অর্থনৈতিক দুর্বলাবস্থা সব মিলিয়ে জাতিসংঘের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর তালিকায় প্রথম দিকে আছে বার্মা। সমগ্র রাজনৈতিক জীবনের ১৫ বছরই সু কির বিভিন্ন সময়ে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটে। ২০০৯ সালে আসিয়ান সামিটে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সু কির মুক্তির উপর বিশেষ জোর দেন। আমেরিকা ও ব্রিটেন উভয়ই বার্মায় সাধারণ নির্বাচনের উপর জোর দিতে থাকে। ২০১০ সালে সু কি মুক্তি পান। ২০১২ সালে সাধারণ নির্বাচনে সু কি ও তার দল NLD বিজয়ী হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ৯ মে সু কি প্রথম আইন প্রণেতা হিসেবে পার্লামেন্টে উপস্থিত হন। ছয় দশকের রক্তপাত ও সশস্ত্র সংঘাত ও একনায়কতন্ত্রের পর বার্মা বা মিয়ানমার গণতন্ত্রের মুখ দেখে। কিন্তু সমস্যা কি আদৌ ফুরোলো?
বার্মায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতির মানুষদের উপর অত্যাচার নিপীড়ণ চলছে সে গোড়া থেকেই। এর পেছনে মূল কারণ তাদের বহিরাগত ভাবা (‘রোহিঙ্গা: এক রাষ্ট্রহীন জাতির জন্মকথা‘ লেখাটি থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন)। অনেক আগে মূলত বাংলাদেশ থেকে উঠে যাওয়া মানুষদেরই একটি গোষ্ঠী এই রোহিঙ্গারা। সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগুরু বার্মীজদের গণহারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও এর কারণে রোহিঙ্গারা আজ নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত। আশ্চর্যের বিষয় বার্মার গণতন্ত্রের মানসকন্যা সু কি রোহিঙ্গা ইস্যুতে একদম চুপ। ২০১২-তে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বার্মার অধিবাসী মনে করা যায় কি না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
বর্তমান পরিস্থিতি সকলেরই জানা। ভারত, আমেরিকা ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সমর্থনে আরও তুমুল আগ্রহে রোহিঙ্গা নিধন চলছে। তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যথেষ্ট সমবেদনা দেখালেও তেমন কার্যকরী ভূমিকা কেউই নিচ্ছে না। আর সীমান্তবর্তী দেশ হওয়ায় লাখে লাখে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সয়লাব হয়ে গেছে বাংলাদেশ। যেভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মাটি আঁকড়ে ধরছে আর যেভাবে মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরে যাবার পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই দ্রুত জনবর্ধনশীল দেশের কী অবস্থা হবে তা ভাবা যাচ্ছে না।
এদিকে একদল অসহিঞ্চু ও অজ্ঞ বাঙালির দাবি বৌদ্ধদের দেশ থেকে তাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের জায়গা করে দেওয়া। তাদের সাথে ওপারের রোহিঙ্গা বিতাড়নকারী সংখ্যাগুরু বার্মীজদের কী তফাৎ তা বোঝা দায়। সীমান্তবর্তী বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে হঠাৎ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতা জারি রয়েছে। পৃথিবীর রাজনীতিতে সুদীর্ঘদিন আড়ালে থাকা মিয়ানমার এভাবেই আজ বাংলাদেশের জন্য এক মূর্তিমান উৎপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী এই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করাই এখন বাংলাদেশের জন্য সময়ের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
Roar