ডা. শাহরিয়ার আহমেদ: বিয়ের আগে প্রতিটি বর-কনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।
এক নজরে দেখে নিন বিয়ের আগে যে ৪টি রোগের পরীক্ষা করানো জরুরি-
১) বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত পরীক্ষা: বিয়ের আগে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পাত্র-পাত্রীর পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত ইউটেরাস ও ওভারিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা। সেইসঙ্গে পাত্রের অকালে বীর্যপাতজনিত কোনো সমস্যা আছে কিনা তাও আগেই টেস্ট করে জেনে নেওয়া উচিত।
২) থ্যালাসেমিয়া: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কারোর সঙ্গে স্বাভাবিক কারোর বিয়ে হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। হবু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়, তবে সমস্যা হয়না, কিন্তু দুজনেই এই রোগের বাহক হলে সেক্ষেত্রেও সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। আর দুজনেই যদি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়, তবে চিকিৎসকেরা সন্তান না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৩) নারীদের ক্ষেত্রে আলট্রাসোনোগ্রাফি ভীষণভাবে জরুরি: আজকাল নারীদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা খুব বেশি-ই দেখা যায়। এটি যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, তত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, নয়তো বিয়ের পর গর্ভধারণে বেশ সমস্যা হয়।
৪) যৌনরোগ বা এসটিডি পরীক্ষা: বিয়ের আগে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে এইচআইভি, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিয়ের আগে এই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এই রোগগুলি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) নামে পরিচিত।