মোরেলগঞ্জে মিথ্যা মামলায় কলেজ ছাত্রকে ফাঁসানোর অভিযোগ

0
0

কলি আক্তার মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রের বাবা মো. রুহুল আমীন শেখ।

শনিবার সকাল ১০ টায় মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ইন্দুরকানি থানার পর্ত্তাশী গ্রামের রুহুল আমীন শেখ বলেন, তার ছেলে মোরেলগঞ্জ সেলিমাবাদ ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানকে (১৬) ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করে গ্রেফতার করায় তার লেখাপড়াসহ ভবিষ্যত জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ১২ ফেব্রæয়ারি তার একটি পরীক্ষা রয়েছে তা নিয়েও পরিবার দুশ্চিন্তায়। প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রে তার গোটা পরিবার এখন আতংকিত ।
তিনি জানান, গত ২ জানুয়ারি চিংড়াখালী ইউনিয়নের সিংজোড় গ্রামের নাসির খানের মেয়ে সিংজোড় গোপালপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা. নাজমিন আক্তার বিদ্যালয়ের বাথরুমে বসে বিষপাপানে আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনায় তার কলেজ পড়–য়া ছেলে মেহেদীকে তার নানা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দেয় এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করে (মামলা নং-৪, তারিখ-৩.০১.২০২৩ ইং)। মামলার বাদী ওই ছাত্রীর বাবাা নাসির খান মামলায় উল্লেখ করেন যে, কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান তার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করায় সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। উত্যক্ত করায় বিষয়টি ইতোপূর্বে মেহেদী হাসানের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়।
কিন্তু মেহেদীর বাবা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার ছেলে ওই মেয়েকে উত্যক্ত করতো এ বিষয় তারা অবহিত নন। বাদী পূর্বে তাদেরকে অবহিত করেছেন বিষয়টি সটিক নয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দায় এড়ানোর জন্য বাদীর সাথে যোগসাজসে ঘটনার দিন রাতে ১০/১৫ জন লোক নিয়ে তার ছেলেকে তুলে নিয়ে মারপিট করে থানায় সোর্পদ করে এবং মিথ্যা মামলা দেয়।
রুহুল আমীন শেখ আরও দাবি করেন তার ছেলে যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকতো তাহলে সেতো ঘটনার পরপরই তার নানাবাড়ির এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করতো। এ ছাড়া মেয়ের বাবা এবং শিক্ষকরাওতো ইতোপূর্বে তার ছেলের বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। সংবাদ সম্মেলন তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে তার নিরাপরাধ ছেলেকে হয়রানী থেকে অব্যাহতি দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্কক্ষেপ কামনা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here