ইসলামে ভাস্কর্য বা মূর্তি উভয়ই সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ: মুফতি ফয়জুল করীম

0
0
সমাজের কন্ঠ ডেস্ক: মাদ্রাসা ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের হামলা ও ১৮ জন ছাত্রকে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভাস্কর্য বা মূর্তির বিরোধিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা নয়। এটা যারা বুঝতে পারে না, তারাই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
ভাস্কর্যবিরোধী মাদ্রাসার ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিরীহ মাদ্রাসাছাত্রদের মিছিলে এ ধরনের লাঠিচার্জ সরকারের জন্য সুখকর হবে না। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত মুসল্লিদের মুক্তির দাবি জানান।
ফয়জুল করীম বলেন, দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও চট্টগামে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে মাঠে নামিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করিয়ে সরকার অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ছাত্র-যুবলীগ সারা দেশে যখন ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছে, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ ও নিবৃত না করে ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে সরকার অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ করেছে।
মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, ওলামায়ে কেরাম শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধী নন, তারা সব মানবমূর্তি বা ভাস্কর্যের বিরোধী। ওলামায়ে কেরাম বঙ্গবন্ধুসহ দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণ চান বলেই তার বিরোধিতা করছেন এবং ওলামায়ে কেরাম মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিষয়ে খোলামেলা বিশ্লেষণ করে জাতিকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
ভাস্কর্য বা মূর্তি অকল্যাণের প্রতীক। এতে কোনো শান্তি ও কল্যাণ নেই। বঙ্গবন্ধুর নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখুন। এতে প্রতিনিয়ত তার আত্মায় সওয়াব পৌঁছতে থাকবে।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী মূর্তিবিরোধীদের বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইতোপূর্বে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হাইকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণে যেমন আন্দোলন করেছেন, এখন ধোলাইপাড়ে নতুন মূর্তি স্থাপনসহ সারা দেশে নির্মিত মানবমূর্তির বিরোধিতা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here