নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের পুরুলিয়া ইউনিয়নের পারবিষ্ণুপুর গ্রামে যৌ’তুকের জন্য গৃহবধু তামান্না বেগমকে (২০) হ”ত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তামান্নার পিতা আকতার মোল্যা জানান, শুক্রবার আনুমানিক রাত ১২টার দিকে ফোনে জামাই বাড়ির এলাকা থেকে ফোনে জানায় আপনার মেয়েকে মেরে রেখে পালিয়েছে পরিবারের সবাই। তখন আমরা জামাই বাড়ি এসে দেখি মেয়ে আমার মাটিতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে দেড় বছরের মেয়ে তাসলিমা কান্না করছে। পরে আমরা কালিয়া থানায় বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে তামান্নার লা”শ নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, গতকাল বিকালে আমাদের মেয়ে তামান্না ফোন করে বলেছিল তোমাদের জামাই ও আমার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি আমাকে অনেক মেরেছে টাকার জন্য। তোমরা আমাকে নিয়ে যাও আমি এখানে থাকলে বাঁচবো না। আকতার মোল্যা জানান, তিন বছর আগে মেয়েকে নড়াইলের কালিয়ার পারবিষ্ণুপুর গ্রামের রব্বেল শেখের ছেলে শিপন শেখের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ে দেওয়ার সময় সমিতির থেকে লোন করে লক্ষাধিক টাকার সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল দেই। কিছুদিন ভালো ভাবে সংসার করছিল তাদের একটা মেয়ে ও হয়েছে। কিন্ত কিছুদিন পর থেকে আমার মেয়েকে শারিরীক নি’র্যাতন শুরু করে আরো টাকা চায় বিদেশ যাবে বলে। কিন্তু আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই তাই তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা যৌ’তুক দিতে পারি নাই বলেই আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে আমি আমার মেয়ে হ’ত্যার বিচার চাই। নড়াইলের কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তামান্নার লাশ ময়’না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সবাই পলাতক। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।