উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল:
নড়াইলের পুরুলিয়া ইউনিয়নের পার বিষ্নুপুর গ্রামের বনি মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায় ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত।
একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মফিজ বিশ্বাস (৪০), আলম শেখ (৩৯), আ. সালাম শেখ (৪২), শরিফুল খাঁ (৪৪), মামুন খান (৩৯), আশিক শিকদার (৩৩), সোহেল শিকদার (২৭), সবুজ শেখ (২২), সবুজ মোল্যা (৩২), খালিদ মোল্যা (২৬), খোকন মোল্যা (৫৫), কিবরিয়া মোল্যা (৫০), সাদি শেখ (১৮), আহাদুল শেখ (২৩), ইমদাদ শেখ (২৭), শরিফুল মোল্যা (৫৩), বাপ্পি শেখ (পলাতক) (৩৪), সুফিয়ান খাঁ (৪৩), আশরাফুল খাঁ (৩৭), আনোয়ার মোল্যা (৪৫), রুনজু মোল্যা (৩৮), দুলাল খাঁ (৫০), শিপলু খান ওরফে পিকুল খাঁন (২৩), উজ্জ্বল তালুকদার (৩৭), আশিক মোল্যা (২৩) ও মো. আজাদ শেখ (৩৭)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাবু মোল্যা (২৭), রকিবুল মোল্যা (৩৫), মো. মিলন শেখ (৩৮) ও সেলিম মোল্যা (৫২)।
এদের সবার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিষ্নুপুরসহ আশেপাশের গ্রামে।
আদালত সূত্র জানায়, গ্রাম্য শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমার কারণে খুন করা হয় পারবিঞ্চুপুর গ্রামের মো. হাসিম মোল্লার ছেলে বনি মোল্লাকে।
২০১৯ সালের ১১ মে বনি বাড়ির পাশের একটি ঘেরে অবস্থান করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে প্রতিবেশী ছাকু কাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ি থেকে তাকে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
ওই ঘটনার পর বনি মোল্লার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনার দুইদিন পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে আরও দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহাদুজ্জামান।