২৫০ টি হাঁস পালন করে তিন মাসে লাখপতি শরিফুল

0
0

নূরে হাবিব,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ২৫০ টি হাঁস পালন করে তিন মাসে লাখপতি শরিফুল,অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনা সত্য।এমনটাই হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ২নং কলোনির(আলমপুর) গ্রামে।আর

এই সফল খামারি হলেন আলমপুর ঢাকালী পাড়ার খোরশেদ আলমের সেজ ছেলে শরিফুল ইসলাম।

কৃষি পরিবারের সন্তান হওয়ায় বেশীদূর লেখাপড়া করতে পারেননি শরিফুল,তাই জিবিকার তাগিদে কর্ম বেছে নিতে হয় শরিফুলকে।জানাযায় বিগত তিন বছর যাবত বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি হাঁস পালন করে আসছেন তিনি।অতীতে হাঁস পালনে তেমন লাভবান না হলেও এবার বাজিমাৎ করে দেখিয়েছেন।২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে বরিশাল থেকে খাকি ক্যাম্বেল জাতের
সাত মাস বয়সি ২৫০টি পাতি হাঁস কিনে নিয়ে আসেন শরিফুল।প্রতি পিচ হাঁসের ক্রয় মূল্য ছিলো ৪৫০ টাকা।বাড়িতে আনার পরে খাদ্য হিসাবে ব্যাবহার করেন ৮ মন ধান,এরই মধ্যে হাঁস বিলে যেতে শুরু করেছে।

১৬ দিন পরে ডিম দিতে শুরু করে হাঁসেরা।বাড়তি খাবারও আর দিতে হয়না!বিলের গুগলি শামাকে পেট ভরে হাঁসের।প্রথম মাসেই শরিফুল ডিম বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার,যখন প্রতি পিচ ডিমের দাম ছিলো ১৪ টাকা।দ্বিতীয় মাসের শুরুতে প্রতিদিন ডিম উৎপাদন হয় ২২০টি করে পরে ডিম উৎপাদন উঠানামা করতে থাকে যার ফলে ৩ মাসে গড় উৎপাদন দাড়ায় ১৭০/১৮০ টি করে,এখন ডিমের পায়কারি মূল্য ১৫ টাকা/১৫ টাকা ৫০ পয়সা।তিন মাসে হাঁসের ঔষধ খরচ বাবদ ব্যায় হয়েছে ২৪০ টাকা, সকল খরচ বাদ দিয়ে তিন মাসে শরিফুলের লাভ হয়েছে এক লক্ষ আঁশি হাজার টাকা।

বিলের পানি কুমে যাওয়া ও ইরি আবাদের কারনে হাঁসের ফ্রি খাবারের উৎস হারানোর চিন্তা শরিফুলের তাড়া করছে প্রতিনিয়ত, এর শেষ পরিনতি কি?ভাবাচ্ছে পরিবারের সবাইকে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here