শার্শার আমলাই মোহাম্মাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

0
0

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ যশোরের শার্শার আমলাই মহাম্মাদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কওসার আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়,ভুক্তভোগী আমলাই মোহাম্মদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। পাশাপাশি সে মাদ্রাসার হেফজখানায় হাফিজা শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলো। হাফিজিয়া অধ্যায়নরত ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা ওই মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার কওসার আলীর বাড়িতে।কওসার আলী বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বসবাস করে এবং হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীদের আবাসন হলো নিচতলায়। ভারপ্রাপ্ত সুপার কওসার আলী ওই ছাত্রী কাম শিক্ষিকাকে প্রায় মোবাইলে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিতো এবং তাকে টাকা পয়সা ও জামাকাপড় কিনে দেওয়ার প্রলোভন দিতো। বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে সে নিজের কামনা বাসনা পূরণ করতে সম্মতি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিতো। সুপারের কথায় রাজি না হওয়ার গত ২৭ ডিসেম্বর ২২ তারিখে ফজরের নামজের পর ভুক্তভোগী ছাত্রী কাম শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ভোগ করতে গেলে ভোগ করিতে না পেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং চুমু খাই পরে ওই ছাত্রী চিৎকার করলে সুপার ঘর থেকে বের হয়ে যায়।উপায় না পেয়ে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা ছেড়ে বাড়িতে চলে গিয়ে তার পিতাকে ঘটনা খুলে বলে।ঘটনা শুনে ভুক্তভোগীর পিতা সেই সময় বিচার চেয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি বরাবর একটা আবেদন করে।পরেদিন ভুক্তভোগীর হঠ্যাৎ বিয়ে হয়ে যায় বলে তার পিতা অভিযোগটি সভাপতির কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয়। এ ঘটনার ২ বছর পার হলেও হঠ্যাৎ ভারপ্রাপ্ত সুপার ভুক্তভোগীর ফোন নাম্বারে কল দিয়ে আবার উক্তাক্ত করা শুরু করে এবং তার শশুর বাড়ি গিয়ে ও তাকে তার সাথে কথা বলা এবং সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়।এমনকি ভুক্তভোগী বাবার বাড়িতে আসলে ও ভারপ্রাপ্ত সুপার ফোন করে তার সাথে সময় দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়।পরে সুপারের ফোন কলে অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী ফোনের নাম্বার পরিবর্তন করলে ভারপ্রাপ্ত সুপার কওসার আলী নতুন নাম্বার জোগাড় করে ফোন করলে ভুক্তভোগীর পিতা নতুন করে গত ২৬ মে ইং তারিখে আবার ও লম্পটন ওই সুপার কওসার আলীর বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর আবার ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান,ঘটনাটির বিষয়ে ওই সময় মেয়েটির পিতা অভিযোগ দিয়ে পরের দিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে মানসম্মান যাবে এমন কথা বলে অভিযোগে তুলে নিয়েছিলো। নতুন করে গতদিন আবার ও অভিযোগ দিলে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবকে অবগত করি এবং অভিযোগটি দায়ের করি।শিক্ষা অফিসার গতকাল মাদ্রাসায় এসেছিলো শুনলাম। তবে কি তদন্ত করেছে আমি এখনো রানিং সভাপতি আমাকে মাদ্রাসায় ডাকিনি আমি জানিনা।আপনারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে জেনে নেন।

অভিযুক্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কওসার আলীর জানান,বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমাকে হেও পতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আমার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন।তবে ওই মাদ্রাসার নতুন কমিটির গঠন নিয়ে আমরা কাজ করছি। দুটো কাজ তো একসাথে হয় না। তার পর ও আমি আমাদের একাডেমিক অফিসার নুরুজ্জামান সাহেবকে অবহিত করে তদন্তের জন্য বলেছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here