জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ বিশেষভাবে তৈরি চুল্লীতে দৈনিক শতশত মণ কাঠ
পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গয়ড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব হোসেন আনছারীর বাড়ির ভিতরে ১০টি
চুল্লীর ঘর স্থাপন করা হয়েছে। এখন অবশ্য স্থানটি ভাটার মোড় নামে পরিচিত লাভ করেছে। আয়ুব হোসেনের বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরে রাইচ মিলের ছদ্মাবরণে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ১০টি চুল্লীর ঘর স্থাপন করা হয়েছে। এই চুল্লী ও ইটভাটার জনবসতি এলাকায় হওয়ায় চুল্লীর ধোয়ায় গাছপালা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে।
এলাকায় পরিবেশ দূষণ চরমে উঠলেও প্রভাবশালী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলাকায়র কেউ মুখ খোলার সাহস নেই। এব্যাপারে কথা বলার জন্য চুল্লীর মালিককে পাওয়া যায়নি।
তবে এক পথচারী জানায়-যশোর জেলার এক ভদ্র মানুষ না কি ওই চুল্লির ভাটা কিনে নিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। এছাড়া কলারোয়া উপজেলার মোয়াজ্জেম
হোসেনের হাওয়া ইট ভাটার পাশে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির আরো ৮ চুল্লী চালু রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম কলারোয়ায় দুই স্থানে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া সত্বেও চুল্লী চালু রাখা হয়েছে। লিখিতভাবে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে না পাওয়ার কারণে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে।