সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকতসহ ৩ পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ দিন পর তাদের রিমান্ডে নিয়েছে র্যাব। আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার ১৩ দিন পর তাদের রিমান্ডে নেয়া হল।
সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বোনের করা হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয় ৬ আগস্ট। তবে, দুই সপ্তাহেও তাদের রিমান্ডে নেয়নি র্যাব।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে ওই তিনজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিমান্ডে নেয় র্যাব। হাতকড়া পরিয়ে ওসি প্রদীপসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাদেরকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
সিনহা হত্যা মামলায় এ নিয়ে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৩ আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হলো। এদিকে ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্কসহ নীলিমা রিসোর্ট থেকে পুলিশের কাছে জব্দ করা ২৯টি ডিভাইস র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অবশেষে সোমবার কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, মঙ্গলবার এই তিন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে। সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের জব্দ করা ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯টি ডিভাইস নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শ্যামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত শুরুর পরপরই কক্সবাজারে যান আইজিপি ও সেনাপ্রধান।