সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক :৮ আগস্ট, ২০১৯ – (পটুয়াখালী) মৌসুমী গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সকল নদ-নদী ও সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। আকস্মিক সাগর উত্তাল হওয়ায় কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরের শিববাড়িয়া নদে আশ্রয় নিয়েছে। দূর্যোগের কারণে আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, সোনাতলা নদসহ সকলন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে নিত ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুরের শিববাড়িয়া নদের দুই তীরে হাজারো মাছ ধরা ট্রলার সাড়িবদ্ধ হয়ে নোঙর করে আছে। অলস সময় অতিবাহীত করছে সকল ট্রলারের জেলেরা। মাছের আড়ৎ গুলো ফাঁকা পরে আছে।
এফ,বি ফয়সাল ট্রলারের মাঝি মো. শাহ জালাল বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই রাতে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মাছ শিকার করা শুরু করতে না করতেই ২৫ জুলাইল সাগর উত্তাল হওয়ার কারণে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আসি। তিনদিন পর আবার সাগরে গিয়ে ইলিশ শিকার করার পর গত ৫ আগস্ট আবার সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আসি।’
ঘন ঘন সাগর উত্তাল হওয়ায় জেলে পেশার মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক দিকে সরকারের দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধ অপর দিকে দূর্যোগ, এই অবস্থায় আমরা জেলে পেশার মানুষ এখন চড়ম ঝুকির মধ্যে আছি। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মহিপুর মৎস্যবন্দর সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ফজলুর রহমান গাজী কালের কন্ঠকে জানান, গত সোমবার থেকে সাগর হঠাৎ উত্তাল হওয়ায় সাগর থেকে সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরের শিববাড়িয়া নদে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা যে কী করব তা ভেবে পাচ্ছিনা। সাগর আমাদের আয়ের উৎস, সেই সাগরে সৃষ্ট দূর্যোগ আমাদের প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ব্যবসায়িকভাবে আমরা লোকসান গুনে চলছি।’
ভিডিও :