শার্শায় পুলিশের এসআই ও সোর্স কতৃক গৃহবধু ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

0
1

 শার্শা প্রতিনিধি – যশোরের শার্শা উপজেলায় এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় আসামী করে গ্রেফতারের পর গভীর রাতে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শার্শার গোড় পাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে।

ধর্ষিত গৃহবধূ ওই এসআই ও তার সোর্স কামরুল ইসলামসহ চার জনের নামে ধর্ষনের মামলা করেন।  মামলার চার আসামির মধ্যে তিন আসামি গ্রেপ্তার হলেও মামলার অভিযোগ থেকে অভিযুক্ত এসআই খায়রুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম, ওমর আলী ও আব্দুল লতিফ। তাদেরকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার।

তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে শার্শার চটকাপোতা গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।’

এসআই খায়রুলকে কেন মামলা থেকে বাদ দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভিকটিমের সামনে গত রাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা হাজির করা হয়। কিন্তু ভিকটিম এসআই খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।’

উল্লেখ্য, ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিজের শারীরিক  চিকিৎসা নিতে গেলে ঘটনাটি সামনে আসে।  তিনি জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খাইরুল ইসলাম ও তার সোর্স কামরুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে তার স্বামীকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এসআই খায়রুল। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে চালান করে দেন।

তিনি জানান, গত সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এসআই খায়রুল ও তার সোর্স বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আবার টাকা দাবি করা নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খায়রুল ও তার সোর্স তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here