মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পরিবেশ কর্মী রিপনের সংবাদ সম্মেলন

0
0

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় শপিং ভ্যালী ফুড পোডাক্টস এ চাঁদাবাজি করায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমরান হোসেন রিপনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে বিষয়টি বিতর্কিত করতে পায়তারার অভিযোগ করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিরাপদ পরিবেশ কর্মী ইমরান হোসেন রিপন। সোমবার (৮ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইমরান হোসেন রিপন বলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শপিং ভ্যালী ফুড পোডাক্টস এর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং চাঁদা দাবী করায় সাতক্ষীরায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয়। উক্ত মামলার বাদি তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মৃত জব্বার সরদারের ছেলে জহুর আলী সরদার। মামলার আসামীরা হলেন, ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, স্থানীয় দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রতিবেদক হোসেন আলী, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ। এ মামলায় আমি ৩নং স্বাক্ষী হওয়ায় পরবর্তীতে উক্ত সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে ‘ভূয়া মামলার স্বাক্ষী হওয়া যার পেশা’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদপত্রে একটি সংবাদ প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত পক্ষে, আমি একজন ব্যবসায়ী ও নিরাপদ পরিবেশ কর্মী। আমার সংগঠন সেভ ওয়াইল্ড লাইফ দীর্ঘ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বেচ্ছায় সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়ে যে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে আটারই গ্রামের শিমুল বাদী হয়ে আদালতে যে ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমাকে সাক্ষী করলেও সংবাদ প্রকাশের আগ পর্যন্ত আমি সে বিষয়ে অবগত ছিলাম না। মূলত শিমুল হোসেন উক্ত মামলার ১নং আসামী সোহাগ হোসেনের সৎ ভাই। ‘বাপ থাকতেও বাপহীন, সম্পদ থাকতেও সম্পদহীন’ এমনই চরম মানবতার অবক্ষয় ঘটেছে, তাদের সাথে। এছাড়া তার পিতার তিন স্ত্রীর মধ্যে বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সাথে একই ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। আনোয়ারা বেগমের তিন মেয়ে বিবাহিত। তবে, কোন মেয়ের বিয়ের দায়িত্বও তিনি নেননি। এমনকি কখনো কোন জামাইকে কোন উৎসব পর্বন উপলক্ষেও দাওয়াত বা আপ্যায়ন করেননি। অথচ, সোহাগ হোসেন একজন সাংবাদিক। যে তার নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথেও দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ করে থাকে, যা দুঃখজনক। এছাড়া তালা উপজেলার আটারই গ্রামের আকবর সরদারের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনার মামলায় আসামি নাজমুল মোড়লও সোহাগ হোসেনের আপন মেজ ভাই। উল্লেখ্য যে, আবুল কাশেম গাজীর ছেলে নাজমুল গাজীকে মামলার আসামি করতে নানা ধরনের ভয় ভীতি প্রদর্শন করার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাকতালীয় ব্যাপার। বাস্তবতা হলো শিমুল হোসেন ও নাজমুল হোসেন সোহাগের সৎ ভাই হওয়ায় তাদেরকে হয়রাণী ও হেনস্থার অংশ হিসেবে গোপনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যে জিডি করা হয়, সংবাদ প্রকাশের আগ পর্যন্ত সেটিও আমি জানতাম না। এছাড়া সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেভ ওয়াইল্ড লাইফ জরুরী সভায় তার বিরুদ্ধে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত ৭ মে পুনরায় সংগঠনের সভায় সদস্যদের সম্মতিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সরূপ তাকে অনৈতিক লেনদেনের সকল অর্থ ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়াসহ অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয় এবং তিনদিনের মধ্যে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, তালা সদরের আটারই গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান মুকুল জানান, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ও তালা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৃথক মামলা হয়। জোরপূর্বক জমি দখল ও মারামারির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ওই এলাকার মিজানুর রহমান মোড়ল। এই মামলার সাক্ষী হিসেবে আমাকে জড়ানো হলেও, প্রকৃত পক্ষে আমার অনুমতি ছাড়াই সাক্ষীর স্থলে নাম লেখা হয়েছে। তবে ঘটনাটি সত্য ছিল, যা এলাকাবাসী অবগত। প্রকৃতপক্ষে, শপিং ভ্যালী ফুড পোডাক্টস এ চাঁদাবাজি করায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে জড়িয়ে বিষয়টি বিতর্কিত করা হয় বলে আমি মনে করি। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here