বিশেষ প্রতিনিধি।। নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৮ বছর বয়সের এক কন্যা শিশুকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একরামুল(৬৩)নামের এক সৎ নানা কে
এলাকাবাসী হাতে-নাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে এই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটেছে শহরের বাঙ্গালীপুর সরকারপাড়া এলাকায় ট্রাক স্টান্ড সংলগ্ন ৫ নং আটকেপড়া পাকিস্তানি (উর্দূভাষী) ক্যাম্পে।
শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা একরামুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়ে রোজিনা (ছদ্মনাম)বেগমের বিয়ে হয়েছে নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী গ্রামে।পারিবারিক সমস্যার কারনে প্রায় একমাস যাবত রোজিনা তার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে নিয়ে মায়ের কাছে এসে থাকছে।
পাশাপাশি সেখানেই তিনি কাজ জুটিয়ে মেয়েকে নানা বাড়িতে রেখেই নিয়মিত কাজে যেতেন। আর এই সুযোগে একরামুল সৎ শিশু নাতনিকে একা পেয়ে প্রায় প্রতিদিনই কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। বিষয়টি দুই-একদিন রোজিনা টেরও পেয়েছিলেন। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে না পারায় মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মনের কথা মনেই চেপে রেখে শুধু ওৎ পেতে থাকতেন তিনি।
বুধবার দুপুরে কাজে যাওয়ার কথা বলে পাশেই একজনের বাসায় আড়াল হয়ে বসে থাকে শিশুটির মা রোজিনা। দুপুরের দিকে একরামুল শিশুটিকে তার রুমে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত জুস খাওয়ায়। পরে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে শিশুটির মা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে চিৎকার করেন। এতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে শিশুটি ও তার মায়ের কথা শুনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একরামুল ও রোজিনাকে থানায় নিয়ে যায়।
সৈয়দপুর থানার এস আই পলাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত একরামুল ও শিশুটির মা পুতুলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একরামুল মেয়েটিকে জাপটে ধরার কথা স্বীকার করেছে। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেছে।
মেয়েটির মা জানান, থানায় পুলিশকে সব কিছু খুলে বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একরামুল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।