মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের একমাত্র অর্থকারী ফসল হচ্ছে পাট, সোনালী আঁশ পাটে যেন মিশে থাকে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। শার্শা উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে পাট সংগ্রহের কাজে। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে যখন বর্ষার পানিতে খাল-বিল ডোবা-নালা ভরে ওঠে। সোনালী স্বপ্ন নিয়ে সোনালী আঁশ ঘরে তুলতে বেড়ে যায় কৃষক কৃষাণীর ব্যস্ততা।
প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে নতুন পাঠ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা। এখন চলছে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজ। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের দেশে এখনও সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করে পাটের আঁশ সংগ্রহ করা হয়। পাট গাছ কাটার পর তা ৮/১০ দিন পানির মধ্যে রাখা হয়। পরবর্তীতে পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ আলাদা করা হয়। পাটের আঁশ ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডোবা ও বিলের পানিতে জাগ দেওয়া পাট থেকে আশ ছাড়াচ্ছে কৃষকেরা। শুধু কৃষক নয় এলাকায় পাটকাঠি চাহিদা থাকায় কৃষকের সাথে প্রতিবেশীরাও আশ ছাড়িয়ে দিয়ে পাটকাঠি সংগ্রহ করছেন।
চলতি বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি।
অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৪০০/২৫০০ টাকা দরে। পরিবেশবান্ধব ও বহুবিদ ব্যবহারের জন্য পাটের চাহিদা রয়েছে পুরো বিশ্বব্যাপী।প্রতিবছর পাট রপ্তানি করে সরকার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা মনে করছে এ বছর পাটের দাম আরও বাড়বে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পাট বহু আগে সমাদৃত হয়েছে গুণগত মানের জন্য। দেশে পাট চাষ বৃদ্ধি পেলে সরকার আরো লাভবান হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।
মোবাইল 01732390325