নাজিমুদ্দিন জনি (শার্শা) – দেশে সম্প্রতি ধর্ষন-হত্যা ও যৌন হয়রানি আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বেনাপোলে মানব বন্ধন হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১ টার সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শার্শা উপজেলা শাখার আয়োজনে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্রী শ্রী ভ্রম্ম হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ী আশ্রম, পরিচালনা পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদ ও যুব পরিষদ, পাঁচয়ার বাওড় মন্দির ও মহাস্মশান কমিটি, কাগজপুকুর কলিমন্দির কমিটি । মানব বন্ধন কর্মসূচিতে শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা-কর্মীসহ নারীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বলেন, প্রধান মন্ত্রী নারীর প্রতি সম্মান দেখাতে বলেছে। কিন্তু যে ভাবে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে দেশে তাতে মনে হয় ধর্ষকরা প্রধামন্ত্রীকেও অসম্মান করছে। কোন কোন এলাকায় সরকার দলীয় সমর্থকরা নারীদের নির্যাতন করে দেশের সম্মান ক্ষুন্ম করেছে। সম্প্রতি দেশে ”প্রতিবাদের প্রতীক” নুসরাতকে যে ভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কোন সভ্য জাতি করতে পারে না। আজ আমরা বলব নুসরত জাহান রাফি বাংলাদেশের হিরোইন। কারণ সে কোন রকম আপোষ করে নাই। সে যৌন হয়রানির মামলা করার পর তাকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু আজ নারী সমাজের পথিকৃত এ ছাত্রী কোন রকম ভয়ভীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে প্রতিবাদ করায় শেষ পর্যান্ত তাকে নির্মম ভাবে মরতে হলো আগুনে পুড়ে। তাই আমরা চাই এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রীষ্টান সকলে মিলে মিশে এক হয়ে বসবাস করি। আমরা সকলে নারীদের সম্মান করি। যদি কেউ নারীদের অসম্মান অমর্যদা করে তার বিরুদ্ধে এক কাতারে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হয়ে বিচার দাবি করব। শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ বলেন, ধর্ষকদের কোন দল, ধর্ম নেই। তাদের একটি পরিচয় তারা ধর্ষক । তারা মানবতার শত্রু। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে দাঁড় করানোর জন্য এক ধরনের কুচক্রী মহল নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের এ চক্রান্তকে সফল হতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সকল ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এক হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে হবে। এ সময় বক্তব্য রাখেন , যশোর জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস, শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি পরিতোষ সরকার, নীলকমল সিংহ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ, বেনাপোল পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্তিপদ গাঙ্গুলী, , বাগআঁচড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাধন গোস্বামী, শার্শা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ বিশ্বাস, বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক, এটিএন বাংলার শার্শা প্রতিনিধি আহম্মেদ আলী শাহিন, বেনাপোল সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমূখ। মানববন্ধন কর্মসূচীর সার্বিক সঞ্চালনা করেন শার্শা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব কুমার সিংহ।