জহর হাসান সাগর, তালা সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ীতে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় খুন, জখমসহ জীবন নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আগরদাঁড়ী গ্রামের মৃত হোসেন আলী মৃধা ছেলে ইউসুফ আলী মৃধা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগরদাড়ী মৌজায় জে এল ৫৫, এস এ দাগ ২২০৪ ও ২২০৩ এস এ খতিয়ান ১৯৮, ডি এস খতিয়ান ৭৩২/০৯, হাল দাগ ৩৪৪৪ ও ৩৪৪৫, মোট জমি ১০৭ শতক। যা এস এ মালিকের ওয়ারেশ থাকে ৪ ভাই ও এক বোন। যা হাল ৭টি খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। আমার পিতা হোসেন আলী মৃধা ক্রেতা ও সুলতান মৃধা দাতা হিসেবে ১৯৫২ সালে ১৮ শতকের একটি দলিল করেন। ১০৭ শতক জমি কবরস্থানসহ ৪ ভাই এক বোন ওয়ারেশ থাকে। এক বোন ১১.৮৮ শতক ও একেক ভাই ওয়ারেশ ২৩.৭৭ শতক পৈত্রিক হিসাবে প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে হোসেন মৃধা ১৮ শতক ও বোনের ১১.৮৮ শতক ইউসুফ মৃধা অর্থ্যাৎ আমি ৬৭ বছর ও ফুফুর জমি ৩৭ বছর ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে ঘরবাড়ী ও গাছগাছালী রয়েছে। সুলতান মৃধার সন্তানেরা ফুফুর জমি ও তার বাবা বিক্রয় করা জমি অস্বীকার করে এখন অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার নামে এবং পিতার নামে দলিল বিদ্যমান। এবাদুল গং বর্তমানে তাদের প্রাপ্য ৮ শতক জমিতে বহাল রয়েছে। বিজ্ঞ সদর সহকারী জজ আদালতে ৪/০৮/২০১০ তারিখে দেং- ১৮৬/১০ মামলা দাখিল হয়। ওই মামলায় বাদী আমাকে(ইউসুফ আলী মৃধা) দিং এবং বিবাদী এবাদুল হক দিং ২৮/০১/২০১৩ তারিখে ৬১ ৩/৪ সম্পত্তির ডিক্রি পান।
এবাদুল হক দিং উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে দেং আপিল ১৬/১৩ দাখিল করেন। উক্ত মামলায় তাদের পক্ষে কোন রকম আদেশ না পাওয়ার স্বত্ত্বেও অবৈধভাবে তফশীল ভূমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ইউসুফ আলী মৃধা এডিএম কোর্টে ১৭৫৭/১৮ পিটিশন কেস দাখিল করেন। উক্ত মামলায় সাতক্ষীরা থানার পক্ষ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা স্বত্বেও দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন থাকার স্বত্বেও ইউসুফ আলী মৃধার দীর্ঘদিনের স্বত্ত্ব দখলীয় ভূমিতে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বর্তমানে লকডাউনের জন্য আদালত বন্ধ থাকার কারনে এ সুযোগ নেওয়ার চেস্টা করছে। অক্ষরজ্ঞানহীন এবাদুল হক গংকে ভুল বুঝিয়ে পিতার বিক্রয় করা জমি ফেরত চাইলে বহুবার জরিপ ও শালিসী হয়। তাদের দাবি পূরণ না করার কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। পিটিশন মামলায় সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সদর সাতক্ষীরা থেকে ইতোমধ্যে রায় পেয়েছি। ১৯৯০ সালে ল্যান্ড সার্ভে আমার পিতা ও নিজ ক্রয়কৃত জমি আলাদা খতিয়ানভুক্ত করতে না পারায় ইতোমধ্যে আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছি। আগরদাড়ী ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর প্রার্থী মনোয়ারা খাতুনের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ইতোমধ্যে দখল করতে গেলে আমাদের প্রতিরোধে তারা পিছু হাটতে বাধ্য হয়। তবে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।