ডেস্ক রিপোর্টঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এর নিকট অস্ত্র জমা দিয়ে আত্নসমর্পণ করা সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জিয়া নিকারী আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
সন্ত্রাসী পেশা ছাড়ি , আলোকিত জীবন গড়ি এই শ্লোগান কে সামনে নিয়ে ২০১৯ সালে একযোগে ১৪ জেলার ৫৯৫ চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেন। পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম এল লাল পতাকা), সর্বহারা, নিউ বিপ্লবী ও কাদামাটির অনুসারী সহ যে সমস্ত চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেন তাদের মধ্যে সাতক্ষীরা -৬ জন ছিলেন।এই ৬ জনের মধ্যে তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের আনার নিকারির পুত্র জিয়া নিকারী আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী এই সব চরমপন্থী সাধারণ জীবনযাপন করবেন। এবং সরকারী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তবে এই জিয়া নিকারী আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে তার আতঙ্কে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তিনি কথায় কথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাদ্বয়ের লোক পুলিশের সাথে বিশাল সম্পর্ক তার। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন মামলা করলে থানায় মামলা নিবে না মন্ত্রী পরিষদ এর সাথে যোগাযোগ রেখে চলেন তিনি। নানা বিধি কথাবার্তায় বলে ভয়-ভীতি দেখায় ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জমি দখল, মৎস্য ঘের দখল, সহ সকল কিছু দখল করার টেন্ডার নিয়েছেন তিনি। এমনকি মাঝে মাঝে থানা পুলিশের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে তাকে। “” কথায় আছে কয়লা ধুলেও ময়লা যাইনা”” ।
সূত্র মতে জানা গেছে:- সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিলেও থেমে নাই তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবং ঘটছে সাম্প্রতিক জেয়ালা নলতা গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেন। জোরপূর্বক ঘের দখল এছাড়াও এলাকার মানুষের জমি দখল ও পানির সেচ বোরিং দখল করে নিয়েছে এই জিয়া নিকারি।
তালার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি রা জানান রাতে কোন মহিলা বাইরে বের হলেও সে সেখানে পৌঁছায়, মানুষের বাড়ির পুকুরে ভালো মাছ হলে তাকে দিতে হবে না দিলে মাছ থাকবে না। এলাকার ফজর আলী নিকারি ও কোহিনুর গাজীর এই জিয়া নিকারী তাদের সেচ পাম্প জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। আটারই গ্রামের আব্দুল আজিজ মোড়ল জানান আমার ২৬ শতক জমি দখল করার চেষ্টা করছে জিয়া নিকারি এবং আমার জমির ধান কেটে নিয়েছে জিয়া নিকারি ও তার বাহিনী এমনি করে প্রতিনিয়তি তার বাহিনী ও এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছে। উপজেলার জেয়ালা নলতা ওয়ার্ড এর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান কিছু দিন আগে তার পুকুরে মাছ চাষে সে বিষ দিয়ে আমার দেড় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন জিয়া নিকারী। এবং তার ঘেরের ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে ও প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে বাজারে তার উপর হামলা করেছেন। এখন জিয়ার নিকারী তার বাহিনীর দ্বারা তার চিংড়ির ঘের দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জিয়ার নিকারী কে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জিয়া নিকারীর কাছে মোবাইল ফোন মারফত জানতে চাইলে তিনি জানান, যে ঘের দখলের কথা বলা হয়েছে সেটা তার রেকর্ডীয় জমি বলে দাবী করে দখলে নিয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি জানান। তবে তিনি চরমপন্থী সন্ত্রাসী হিসাবে আত্নসমর্পণ করার কথা স্বীকার করেন।
ডুমুরিয়া থানার ওসি উবাইদুর রহমান চরমপন্থী দের নামে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে গিয়ে দখলবাজ দের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত রা ভাড়াটিয়া লোক ঘের দখল করতে চেষ্টা করেছিল। এখন উক্ত ঘেরে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাই নাই।আইনের উর্ধ্বে কেউ না আত্নসমর্পণ করা বা অন্য কেউ হোক না কেন এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।