তালায় মৎস্য কর্মকর্তা স্নীগ্ধা খা’র বিরুদ্ধে দুটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

0
0
জহর হাসান সাগরঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নীগ্ধা খাঁ বাবলি ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) ও সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, মৎস্য অধিদপ্তরের অধীন কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ প্রদর্শনী প্রজেক্টের জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২৪ টি সমিতির সদস্যদের মধ্যে ৩০টি পুকুরে সিআইজি কার্প মাছের চাষ হচ্ছে। প্রতিটি পুকুরে ২০ হাজার টাকা করে ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও পুকুর প্রতি মৎস্য চাষীরা পেয়েছেন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকার সমমূল্যের প্রণোদনা সামগ্রী। গত ২২মে রবিবার এ প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নীগ্ধা খা বাবলি।
এসময় ৩০ টি সমিতির অনুকুলে ১ মন কার্প জাতীয় মাছ, অথবা (৫০০ পিচ গলদার পোনা), ৬বস্তা (২৫ কেজির) ফিস ফীড এবং সাইন বোর্ড ক্রয় করে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরন করেছেন।যাহার সবোর্চ্চ দাম হিসেব করলে মূল্য আসছে ১২-১৩ হাজার টাকা। বাকী টাকার হিসাব দিতে পারেননি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা।
অপরদিকে গত ৮ জুন বুধবার সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় সামাজিক ও পরিবেশ সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। কর্মশালাটি ৭ তারিখ ও ৮ তারিখ হওয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র নামমাত্র একদিন কর্মশালা করা হয়। দুইদের এই কর্মশালা করা জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকার হিসেব করলে মিল পাওয়া দায় হয়ে ঠেকেছি। হিসাব মতে, কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী ১০০ জনের জন্য ১ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা। অংশগ্রহণকারীদের দুপুরের খাবার সবজি,ডিম ও ভাতের জন্য ১০০ টাকা করে হলে মোট দশ হাজার টাকা। কর্মশালায় প্রতিজনের জন্য একটি ব্যাগ,খাতা ও কলম বাবদ ৩০০ টাকা করে গড়ে আসে ত্রিশ হাজার টাকা। কর্মশালায় সকল হিসেবে করে মোট হয় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এখন হিসাব মোতাবেক বাকি ১ লক্ষ টাকা গেল কোথায় ?
তাহলে কি এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) প্রকল্পের প্রায় ২ লক্ষ টাকা ও সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায়  কর্মশালার ১ লক্ষ টাকা কি উধাও হয়ে গেলো? প্রশ্ন জনমনে।
এবিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নীগ্ধা খা বাবলির কাছে জানতে চাইলে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দেখিয়ে অর্থের হিসাবের বিষয় কোন জবাব দিতে পেড়ে দায় সাড়া কথা বলে প্রস্থানের চেষ্টা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here