তালা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার তালার পাটকেঘাটার ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র স্ট্রান্ড জোর দখল করার চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে সুমন কাগজী ও আলামীনের বিরুদ্ধে পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালকরা।
প্রকাশ,তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা ওভার ব্রীজ এলাকায় প্রতিদিন ৭০টি মহেন্দ্র ও ১৪০ থেকে ১৬০টি ইজিবাইক চলাচল করেন। সে স্ট্যান্ড দখল করে দীর্ঘ আটমাস যাবত কথিত শ্রমিক নেতা সুমন কাগজী ও আলামীন সরদার সহ তার সাংঙ্গপাঙ্গরা সীমাহীন চাঁদাবাজি করতে থাকেন। এমতঅবস্থায় কয়েক মাস আগে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের সাইফুল করিম সাবু ও সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক এর নির্দেশনা মোতাবেক পাটকেলঘাটা থানা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দরা সাতক্ষীরা জেলা অটোরিক্সা ও অটোটেম্পু মালিক সমিতি খুলনা-২১৯৯ এর কাছে স্ট্যান্ডটির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এত করে উক্ত স্ট্যান্ডটিতে চলাচলরত ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালকদের সীমাহীন চাঁদাবাজি ও হয়রানী হতে মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু পুনরায় ওই সুমন কাগজী ও আলামিন স্ট্যান্ডটি সীমাহীন চাঁদাবাজি চালানোর উদ্দেশ্য গত শনিবার(৬ ই আগস্ট) ৩০-৪০ জন এলাকার বখাটে নেশাগ্রস্ত পোলাপান নিয়ে দখল নেওয়া চেষ্টা করেন।
এসময় সুমন কাগজী ও আলামিন সরদার পাটকেঘাটা স্ট্যান্ডে ইজিবাই ও মাহেন্দ্র চালকদের কাছে চাঁদা দাবি সহ চালকদের এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করেন। পরে সকল ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালকদের প্রতিরোধের মুখে ঘটনাস্থলে ত্যাগ করতে বাধ্য হন উক্ত চাঁদাবাজরা।এর আগেও এই সুমন কাগজী ও আলামিন কয়েকবার চাঁদাবাজি করার দায়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি লাভ করেন।
এবিষয়ে থানায় অভিযোগকারী মাহেন্দ্র চালক শ্রী রাজিব বিশ^াস জানান, গত শনিবার ১২ টার দিকে এই চাঁদাবাজ সুমন কাগজী ও আলামিন সরদারসহ ৩০-৪০ জন স্ট্যান্ড দখল নেওয়া চেষ্টা করেন। এসময় আমার কাছে চাঁদা চাইলে প্রতিত্তরে কেন চাঁদা দেব বললে, সুমন ও আলামিন আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করা সহ আমার পকেটে থাকা ৪ হাজার ৫০০ শত টাকা কেড়ে নেয়। উক্ত সময় সুমন কাগজী ও আলামিন সহ তার সঙ্গীরা মাহেন্দ্র ভাংচুর করতে উদ্যত হলে সকল ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালকদের প্রতিরোধের মুখে পরে। পরে ধাওয়া মুখে সুমন কাগজীরা পলায়ন করেন।
সাতক্ষীরা জেলা অটোরিক্সা ও অটোটেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম জানান, এলাকার নামকরা চাঁদাবাজ এর আগের কয়েক বার স্ট্যান্ডটি দখল করে সীমাহিন চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি কয়েক মাস আগেও স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করার সময় বর্তমান ওসির নির্দেশে সুমন কে আটক করা হয় । পরে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। সুমন কাগজী ও আলামানি ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালক না বা সদস্যও না তরপরে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সে স্ট্যান্ডটি দখল করার চেষ্টা করেন বারংবার। এই সুমন কাগজী ও আলামিন এলাকাজুড়ে নানান অপকর্মের সহিত জড়িত আছেন। আমরা ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালকরা তার হাত হতে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে পাটকেলাটা থানার এসআই সলেমান বলেন, ইজিবাইক স্ট্যান্ড বিষয়ক একটি অভিযোগ জমা হয়েছে। ওসি স্যারের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।