নিয়োগবিধি অনুযায়ী দ্রুত পদোন্নতি চান সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকগণ

0
2
মো. ওমর ফারুক : আমাদের নিয়োগ কালীন নিয়োগবিধি অনুযায়ী: সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রবেশের পর প্রফেশনাল বি এড ডিগ্রী সম্পন্ন সহ আট বছর সন্তোষজনক চাকরিকাল শেষে সহকারী প্রধান শিক্ষক/ সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (৯ম গ্ৰেডে প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার) পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা!অন্যদিকে, সর্বশেষ সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী: একই শর্ত মোতাবেক সাত বছর পর সিনিয়র শিক্ষক (নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণীর, নন ক্যাডার; উল্লেখ্য, এখানেও পদোন্নতির ধাপের অবনমন করা হয়েছে! কেননা পূর্বের নিয়োগ বিধিতে আমাদের পদোন্নতির দ্বিতীয় ধাপটি ছিল ক্যাডার পদের) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার কথা থাকলেও ১৩/১৪ বছর যাবৎ সন্তোষজনক চাকরি এবং নিয়োগবিধির শর্তাবলী শতভাগ পরিপালন করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না! তাদের প্রশ্ন কেন তাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না? সাধারণ শিক্ষকদের প্রশ্ন তুলেছেন তাদের অপরাধটা কি? কেন তারা পদোন্নতি পাবেন না? সিনিয়র শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক এর হাজার হাজার পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও কেন যোগ্য শিক্ষকদের শূন্য পদ সমূহে পদোন্নতি দেওয়া হবে না?
তাদের দাবি নিয়োগবিধির আলোকে যোগ্য শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর মান্যবর মহাপরিচালক মহোদয়সহ মাননীয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার লিখিত আবেদন দেওয়ার পরেও তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়েছে! তাঁরা বলছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কেও পদোন্নতি দিতে আবেদন জানিয়েছেন তারা। পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকগণের (প্রায় ১৭০০ জন) পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছেও আবেদন পৌঁছে দিয়েছেন বলে বঞ্চিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি করেছেন। (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আবেদন দাখিল করা হয়েছে!)
কিন্তু অদ্যাবধি তাদের অধিকার নিয়োগ প্রীতি অনুযায়ী কাঙ্খিত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না! উল্লেখ্য, বঞ্চিত শিক্ষকগণের শতভাগ শিক্ষক বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত! ২০১০ (অংশ) এবং ২০১১ ব্যাচের শিক্ষকগণ পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন। তাঁরা বলছেন পদোন্নতি বঞ্চিতদের মধ্যে ৫৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষক ও রয়েছেন! মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের দাবি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের আমলে এই সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এবং কর্মরত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষকগণ বঞ্চিত হয়ে থাকবেন- এটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না!
বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,  শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এবং কর্মক্ষেত্র, সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতির বিষয়টি সুবিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মো, ওমর ফারুক
সহকারী শিক্ষক (বাংলা)
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা ও
সাধারণ সম্পাদক : বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, খুলনা জেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here