শুক্রবার(২২ অক্টোবর)আটটার দিকে নীলফামারী সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।প্রতিমন্ত্রী বলেন, উজানের ঢলের ফলে যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের নতুন করে ঘর করে দেয়া হবে।যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিস্তায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব বাঁধ নতুন করে তৈরি করতে দ্রুত আন্ত:মন্ত্রনালয়(পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়) সাথে বৈঠক আহবান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা প্রদানে মন্ত্রনালয়ে লেখার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। মতবিনিময় শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহসীন বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭১৫টি পরিবারের নাম প্রথম পর্যায়ে মন্ত্রনালয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন সহ ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।এ জন্য ঘর প্রতি প্রায় ২ লাখ টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।
এরআগে ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জোত নবীনগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পাঁচশো পরিবারের মাঝে ওই স্থানের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।ডিমলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম,বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সরকার ফারহানা আকতার সুমি, পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান প্রমুখ।
বিতরণের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি করে মসুর ডাল,লবন,চিনি,১ লিটার তৈল,২০০ গ্রাম হলুদ গুড়া,১০০ গ্রাম করে মরিচ গুড়া ও ধুনিয়া গুড়া।
উল্লেখ:তিস্তার বন্যায় সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রাম শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সামগ্রী বিতরন করার কথা ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি’র। কিন্তু মন্ত্রী কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট ও রংপুরের বন্যা কবলিত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে সন্ধ্যা হওয়ায় তিনি সেখানে আর যেতে পারেননি বলে জানা গেছে।