শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছেনা

0
0

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েল গুলোতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে সাধারান মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছে।অনেকটা বাধ্যগ্রস্থ হয়ে অনেকেই পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করছেন।যদিও পূর্বে এমন সমস্যা থাকলেও এবছর টিউবয়েলের পানি সংকট তীব্র থেকে আরো তীব্র আকার ধারন করেছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত সাব-মির্সিকল পাম্প স্থাপন ও ফসলি জমিতে সেছ এবং গভীর নলকূপ গুলোর জন্যই পানির স্থর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল গুলোতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে অগভীর টিউবওয়েল গুলোতে এরকম পরিস্থিতি বেশি দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে গরমের প্রকোপ বাড়ায় কিছুদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল,কায়বা,গোগা, ভুলাট, গোপালপুর, আমলাই,রুদ্রপুর,বসতপুর,জামতলা,ঝিকরগাছার,শংকরপুর,কুলবাড়ীয়া,উলাকোল,নায়ড়া খাটবাড়ীয়া, হরিদ্রাপোতা, জে,কাটি, সেকেন্দারকাটিসহ উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের টিউবয়েল গুলোতে পানি মিলছে না।

এলাকার কিছু এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে পুকুরের ময়লা পানি ফুটিয়ে পান করছেন , অথবা অনেকেই কয়েক কিলোমিটার দুর থেকে কাধে কিংবা কলসিতে কোমরে বসিয়ে করে নিয়ে আসছেন বিশুদ্ধ পানি।

কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইমানুর রহমান জানান,আমার ওয়ার্ডে প্রায় সব গুলা টিউবওয়েল বিশেষ করে আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল গুলো থেকে পানি উঠছে না।গ্রামের মানুষ বিশুদ্ধ পানি জন্য এখন পানি ক্রয় করে পান করছে।আমি আশপাশের গ্রামগুলোতে খোজ খবর নিয়ে জেনেছি সেখানে ও একই সমস্যা।

গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামের সমাজসেবক শাহিন জানান,আমার এলাকায় টিউবওয়েলে পানি না উঠার কারনে মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি অভাবে আছে।অনেকে টাকা দিয়ে বোতলজাত পানি কিনে পান করছে।তবে বেকায়দায় পড়েছে গরীর মানুষগুলো তারা বিশুদ্ধ পানি সংকটে আছে।

শংকরপুর ফেরিঘাট বাজার কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান পলাশ ও কৃষি বান্ধব নেতা সোলায়মান কবীর জানান, পানির সংকট এখন চরম আকার ধারন করেছে,আগে এত খাবার পানির সংকট দেখা যায়নি।এ বছর আমাদের ১ নং ওয়ার্ড সহ আশেপাশের ওয়ার্ডগুলোতে টিউবয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে,টিউবয়েলের হাতল ধরে অনেক সময় ধরে চাপাচাপি করলেও মিলছে না পানি ।যদিও আমরা ওয়ার্ড ভুক্ত পৌরসভার সাপ্লায়ের পানি পান করতে পারি না । পানির জন্য আমরা অনেক কষ্টের মধ্যো আছি, এবং অনেকেই পুকুরের ডোবার পানি ফুটিয়ে পান করছি, তবে এভাবে চলতে থাকলে আমরা নানান রোগ বালাইয়ে পড়তে পারি।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা চেয়ারম্যান, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সহ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here