নাজমুল হোসেন – অভয়নগর (যশোর)
যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের একই পরিবারের আটজনকে খাবারে সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।অচেতন আটজন হলেন, শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদের ছেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী গনেশ চক্রবর্তী (৪৫), গনেশের স্ত্রী তন্দ্রা (৩০), কৃষ্ণপদের আরেক ছেলে কার্তিক চন্দ্র (৪৫), কার্তিকের স্ত্রী সীমা (৩০), কৃষ্ণপদের মেয়ে রুম্পা (২০) ও রুপা (১১), গনেশ চক্রবর্তীর ছেলে নিতাই (১৪) এবং কার্তিক চন্দ্রের মেয়ে নিপা (১২)। গনেশের স্ত্রী তন্দ্রা জানান, বুধবার পরিবারের আটজন একই সঙ্গে রাতের খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়েন। ছোখ খুলে দেখেন হাসপাতালে। এর বেশি তিনি আর কিছুই জানেন না। প্রতিবেশীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে গনেশ ও কার্তিকের পরিবারের সদস্যদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন প্রতিবেশীরা। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন সবাই ঘুমে অচেতন। একটি জানালার গ্রীল কাটা, ঘরের মধ্যে মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করলে দুই একজন ঘুম থেকে উঠে আবোল-তাবোল কথা বলে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বা প্রতিবেশীরা কেউ জানাতে পারেননি। এ ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান জানান, খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাদেরকে অচেতন করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলছে। ২৪ ঘণ্টা পর কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রোকিবুজ্জামান বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চুরি করে থাকে। এ ঘটনায় তদন্ত ও পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান শেষে সবকিছু পরিষ্কার করে বলা সম্ভব হবে।