সাতক্ষীরার ওমরাপাড়া গ্রামের সবুজের খন্ডিত লাশ খুলনা ফারাজীপাড়া থেকে উদ্ধার

0
2
শেখ রিপন – খুলনায় বেড়াতে যাবার কথা বলে নিজের মোটর সাইকেল যোগে খুলনায় গিয়েছিল সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমান সবুজ ( ২৬) । আর তিন দিন পরই সবুজের বস্তাবন্দী খন্ডিত লাশ খুলনা ফারাজী পাড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে নিহত সবুজের মোবাইল থেকে তাদের বাড়িতে একটি ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় ‘সবুজকে আমরা বেঁধে রেখেছি।তার জন্য ছয় লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে শুক্রবার সবুজের লাশ শনাক্ত করেছেন তার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওমরাপাড়া গ্রামের আদুল হামিদ সরদার। সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করে। কয়েকদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত মা জাহানারা খাতুনকে দেখতে বাড়ি এসেছিল সে।
তার বাবা আব্দুল হামিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে তার মাকে জানিয়ে নিজের মোটর সাইকেলে খুলনায় যায় সবুজ। পরদিন ফিরে আসার কথাও বলেছিল সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করেন (যার নম্বর ২৯৩, তারিখ ০৭.০৮.১৯)। ওই রাতেই খুলনার ফারাজিপাড়া মোড়ে পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো একটি ত্রিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাবা তাকে নিজের ছেলে হাবিবুর রহমান সবুজ বলে শনাক্ত করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা হাসপাতাল মর্গে।
সবুজের বাবা আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার খোঁজ জানতে খুলনায় ফোন করা হলে সাদি নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে জানায় ‘সবুজ মোস্তফা মামার সাথে যশোর গেছে’। এর পর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সবুজের বাবা আবদুল হামিদ আরও জানান, তার ছেলের সাথে খুলনায় ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। এই মামলায় কিছুদিন আগে তার ছেলে জেলও খেটেছিল। তিনি জানান, ব্যবসার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে খুলনায় কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, সবুজের লাশ নিতে খুলনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here