শার্শা (যশোর) প্রতিনিধিঃ বার বার বেনাপোল ইমিগ্রেশন পত্রিকার পাতায় ঘুষ দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতির শিরোনাম হলেও বর্তমানে সেই প্রেক্ষাপট ভিন্ন ভাবে রুপ নিয়েছে। বিগত মাস দুয়েক ধরে ইমিগ্রেশন ওসির অব্যাহত অভিযানে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বচ্ছ পরিবেশ ফিরে এসেছে। আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল ইমিগ্রেশন ছিল বহিরাগতদের অবাধ বিচারন। যাত্রীরাও বিড়ম্বনায় পড়ত এসব বহিরাগতদের জন্য।
সরেজমিনে বুধবার বেলা ১০ টার সময় দেখা যায় বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন বাউন্ডারীর ভিতর পূর্বের অবস্থা থেকে ফিরে এসেছে। একসময় এখানে গিজ গিজ করত বহিরাগতরা। সম্প্রতি সময়ে কয়েক দফায় ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বহিরাগত কয়েক জনকে কি কারনে কেন এখানে এসেছো, এরকম প্রশ্নে তারা সন্তোষ মুলক জবাব দিতে না পারায় আটক করে। এই ভাবে কয়েক দিন কয়েক দফায় আটকের পর বহিরাগত মুক্ত হয়ে এখন সুশৃংখল পরিবেশ ফিরে আসায় জনমনে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।
এক সময় এই ইমিগ্রেশনে পুলিশরাও বিভিন্ন ছলচাতুরির প্রশ্রয় নিয়ে আগে কাজ করে দেওয়ার নাম করে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে বই প্রতি ১০০ টাকা করে নিয়ে সিল মারত। তাও এখন বন্ধ। দুর-দুরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা সুশৃংখল ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, আগে এ পথে প্রবেশের সময় বহিরাগত কিছু লোক এসে পাসপোর্ট নিয়ে আগে কাজ করে দেওয়ার নাম করে টানা হ্যাঁচড়া করত। সেই টানা পার্টিকে এখন আমি না দেখে হতাশ। এরা কোথায় গেল। কি ভাবে সম্ভব হলো। ভারতের কোলকাতা হাওড়ার দিপালী ভৌমিক বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্টের ইমিগ্রেশন এর দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ায় ভাল লাগছে। এর আগে যতবার এসেছি ততবার কারো না কারো হাতে পাসপোর্ট দিতে হয়েছে আর সাথে ১০০ টাকাও দিতে হয়েছে বর্তমানে সেই পরিবেশ থেকে মুক্ত।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সংরক্ষিত এলাকা। আর এ পথে দেশী বিদেশী পর্যটকরা যাতায়াত করায় বেনাপোল সহ দেশের মান সম্মান মর্যাদার প্রশ্ন থাকে। আমি এখানে আসার পর এদের পর্যবেক্ষন করতে থাকি। এরপর আস্তে আস্তে এদের আটকের পর এরা ইমিগ্রেশন থেকে ছিটকে পড়ে। তবে এদের চালান দেওয়ার আগে এখানকার সন্মানিয় লোকজন এসে এরা পূনরায় ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করবে না এমন প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।