জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি

0
1

সমাজের কণ্ঠ  ডেস্ক   :৩০ জুলাই, ২০১৯ –

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি কাল বুধবার বেলা দুটা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ও দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন এবং ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এ সময় আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল মঈন খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হাবিবুন্নবী খান সোহেলসহ বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে, নারী, বয়স্ক ও অসুস্থতা-এই তিনটি বিষয় বিবেচনায় জামিন দেওয়া যাবে। খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক নারী। তিনি খুবই অসুস্থ। তাই তার জামিনের জন্য আবেদন করছি। এ ছাড়াও এই আদালত থেকে এরকম ক্ষেত্রে আগেও জামিন দিয়েছেন। তাই খালেদা জিয়ার জামিন চাচ্ছি। জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন না। কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

জয়নুল আবেদীন বলেন, এখানে মামলায়ই বলা হয়েছে যে, এটা সরকারি টাকা নয়। বিএনপির দলীয় ফান্ডের টাকা। বিএনপির কেউ এই টাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে ট্রাস্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা করেননি। তাই তিনি এই মামলার আসামি হতে পারেন না। তাকে রাজনৈতিক কারণে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির বলেন, এই মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল নিজে শুনানি করবেন। তাই সময় চাচ্ছি।

এরপর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তাই জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি এ সময় মামলার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

শুনানি শেষে আদালত বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করতে চেয়েছেন। তাই আগামীকাল বেলা ২টা পর্যন্ত মূলতবি করা হলো।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গতবছর ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট গত ৩০ এপ্রিল এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন ও জামিনের আবেদন নথিভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে দুইমাসের মধ্যে মামলাটির নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ নির্দেশে নিম্ন আদালত থেকে গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here