সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – বাংলাদেশে নানান জায়গায় নানানভাবে চিকিৎসকগন হেনস্থার শিকার হচ্ছে, এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, চলেন না একদিন সারাদেশের চিকিৎসকরা ওয়াকওভার ওয়াকওভার খেলি, তাহলে বুঝত চিকিৎসক কি? তার প্রয়োজন আছে কিনা?’
নড়াইলে একজন সাংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ান ডে অধিনায়ক মাশরাফির হাসপাতালে সদলবলে অভিযান ও ভিডিও ভাইরালের কারণে রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারির বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আখতার হোসেন, কার্ডিওলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শওকত আলী ও ডা. মো. রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার ডা. এ এসএম সায়েমকে ওএসডি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ দেশের চিকিৎসক সমাজ। তাদের অভিযোগ, ডাক্তারি শিডিউল না বুঝেই নানা শ্রেনীর লোকজন চিকিৎসকদের ওপর চড়াও। সকলের অকারণ চড় থাপ্পড় গালাগালে র শিকার বানান হচ্ছে জনগুরুত্ব স্বাস্থ্যসেবার নয়েকদের। ডাক্তারদের শত্রু বানিয়ে সবাই হিরো হওয়ার অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কোন অত্যাচার জুলুম আখেরে ভাল ফল বয়ে আনে না। বর্তমান সরকার ও চিকিৎসক সমাজের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করতেই মহল বিশেষ সুকৌশলে তৎপর।
সম্প্রতি মাশরাফির নিজ নির্বাচনী এলাকার সরকারী হাসপাতাল পরিদর্শনের একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। ঐ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের না পেয়ে তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসময় তিনি প্রথমে রোগী সেজে স্যর স্যার করলেও পরে পরিচয় দিয়ে বলেন , বলেন তো আপনারে আমি কি করি!
এই সংলাপ ও ভাষা নিয়ে ডাক্তাররা ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য , চিকিৎসক কাজে অনুপস্থিত থাকলে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ডেকোরাম মেনে এমপি তার কাজ করবেন। এভাবে চিকিৎসকদের ইমেজে কেউ কালিমা লাগাতে পারেন না।
ডাঃ ফয়সাল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকও।
২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘চলেন না একদিন সারাদেশের চিকিৎসকরা ওয়াকওভার ওয়াকওভার খেলি, তাহলে বুঝত চিকিৎসক কি? তার প্রয়োজন আছে কিনা?’ চিকিৎসকনেতা ফয়সাল ইকবালের কথায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকদের সমর্থন জানাতে দেখা গেছে।
নড়াইলের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার আকস্মিক জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক না পাওয়ার পর ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, চার চিকিৎসককে বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি তাদের ওএসডি করে বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে মন্ত্রনালয়।