ডুমুরিয়ায় ইউপি নির্বাচনের ১৭দিন পর ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স উদ্ধার

0
0
রাশিদুজ্জামান সরদার ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধিঃ
খালি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে। গতকাল ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার হয়। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১২নং রংপুর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়নের ৯নং রামকৃষ্ণপুর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠানের ১৭দিন পর গতকাল স্কুল কর্তৃপক্ষ কক্ষ পরিস্কার করতে যেয়ে অফিস কক্ষ থেকে একটি প্লাষ্টিকের খালি ব্যালট বক্স ও একটি ব্যানার উদ্ধার করে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে নির্বাচনের রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান,ভোট কেন্দ্রে দায়ীত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল গফফার বাওয়ালী স্থানীয় সাধারণ জনগনের উপস্হিতে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করেন। ভোট গ্রহন অনুষ্ঠানের ১৭দিন পর ব্যালট বক্স উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।
রংপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই স্কুল কেন্দ্রের ৬নং বুথে প্রিজাইডিং অফিসার আমাদের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর কোন পোলিং এজেন্টকে বসতে না দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই অদৃশ্য কারণে ভোট গ্রহন করেছেন’। এছাড়াও ভোট কেন্দ্র গুলোতে প্রশাসন নৌকার কর্মীদের উপর কড়া নজরদারী করলেও প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ঘোড়া’ প্রতিকের কর্মীদের বেলায় ছিলো শৈথল্যতা। বিষটির সুষ্ট তদন্ত দাবী জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে কেন্দ্রে দায়ীত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ডুমুরিয়ার আঠারো মাইল সৈয়েদ ঈসা টেকনিক্যান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আব্দুল গফফার বাওয়ালী’র মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নি। ভোট গ্রহনের ১৭ দিন পর ব্যালট বক্স পাওয়ার বিষয়টি কেন গোপন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) কাদেরুন নেছা জানান, ব্যালট বক্স পাওয়ার বিষয়টি তিনি গত ১৩ তারিখে তার ক্লাসটারের দায়ীত্বরত একজন উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছিলেন। বিষয়টি নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা দেখবেন বলে প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে ছিলেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। ব্যালট বক্স উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচনের রিটার্ণিং অফিসার সুব্রত বিশ্বাস বলেন, প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে বুধ সংখ্যার চেয়ে দু’ একটি ব্যালট বক্স অতিরিক্ত পাঠানো হয়। প্রিজাইডিং অফিসার বা ভোট গ্রহনের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা হয়ত ভুল ক্রমে একটি খালি বক্স ফেলে রেখে এসেছিলেন। খবর পেয়ে বক্সটি উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী এন্ট্রি করে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here