মোঃ আশরাফুল ইসলাম সোহেল (ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ) : ভোগান্তি নামক শব্দটা এখন শুধুই লেখায় ব্যবহারের জন্য,ব্যাপারটা এমনই।ভোগান্তি আছে কিন্তু ভোগান্তি নিরসনে কোন ব্যবস্থা নেই।প্রতিদিন কোন না কোন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।সেরকমই এক নতুন ভোগান্তির শিকার ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ রুটের লোকাল যাত্রীরা।ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ রুটে প্রতিদিন যেসকল যাত্রী যাতায়াত করে তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত।তাদের যাতায়াতের একটি মাত্রই মাধ্যম হল সিএনজি ও ইজিবাইক।এই রুটে এই সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াতের জন্য কোন লোকাল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা নেই।কিন্তু বড়ই পরিতাপের ব্যাপার হল প্রায়সই কোন এক অজানা কারনে এই রুটের লোকাল যাত্রীদের একমাত্র ভরসা এই সকল সিএনজি ও ইজিবাইক গুলো হাইওয়ে পুলিশ আটক করে।যার দরুন ঐ সময় গুলোতে এই রুটে সিএনজি ও ইজিবাইক তথা ৩ চাকার যানবাহন বন্ধ থাকে।আর তখনই এই রুটের যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।কর্মস্থলে পৌছাতে দেরি বা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় তাদের। হাইওয়ে পুলিশের দাবী মহাসড়কে এই সকল ৩ চাকার যানবাহনের জন্যই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।কিন্তু বাস্তবতাটা অন্যরকম।এই রুটে আজ পর্যন্ত যত বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে তার বেশির ভাগই ঘটেছে এই রুটের রাক্ষস নামে খ্যাত রুপসা আর গড়াই পরিবহনের দ্বারা।মধ্যাকথা তো এটা নয়।দুর্ঘটনা মুক্ত মহাসড়ক কে না চাই? কিন্তু দুর্ঘটনা রোধের নামে সাধারন লোকাল যাত্রীদের এই ভোগান্তি কেন?
যদি এই সকল ত্রিচক্রযানই মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারন হয়,তাহলে সেগুলো বন্ধ করাতে কোন আপত্তি এই রুটের লোকাল যাত্রীদের নেই।তবে এই রুটের যাত্রীদের একটাই প্রশ্ন তাদের চলাচলের জন্য বিকল্প কোন লোকাল সার্ভিসের ব্যবস্থা না করে কেন এই ভোগান্তি?