গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলাদেশে ধর্ষকদের বিচার দেবে কে?- বিচার চেয়ে সাংবাদিক আজমানুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকালে তার ফেসবুকের ওয়ালে এমনই একটা খোলা চিঠি দিয়েছেন।
তাঁর ফেসবুক থেকে হবুহু তুলে ধরা হলো…….
স্বাধীনতার রক্তে গাঁথা আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। আমার এই দেশে জনপ্রিয় শদ্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ষণ।এক এর পর এক নির্বিচারে ঘটে যাচ্ছে ধর্ষণের মতো অমানাবিক কাজ।
ধর্ষণের কারণ কি?
কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকে বিতর্কিত এবং আপত্তিকর মন্তব্যও করেন অনেকে৷ ধর্ষণের জন্য মেয়েদের ছোট পোশাককেও দায়ী মনে করেন কেউ কেউ৷আবার অনেকে মনে করেন ধর্ষণের জন্য মূলত বিকৃত মানসিকতাই দায়ী৷
হ্যাঁ, আমিও আপনাদের মতো মেয়েদের ছোট পোষাককে দায়ী করলাম। তাহলে কেন শিশু সায়মাকে ধর্ষণ করা হলো?
কেন ৪বছর বয়সী শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হলো?
বাংলাদেশ, ভারতের ধর্ষণের একই রকম চিত্র। পুলিশ মামলা নেয় না, মামলা নিলেও বিচার হয় না। আর ধর্ষিতা মানেই এই অঞ্চলে অপরাধী, বেশ্যা, মাগী তাই বিচার নিয়েও কেউ যেতেও চায় না, মুখ খুলতে চায় না। ফলে পরিসংখ্যান দেখায় বাংলাদেশে ধর্ষণ শূন্য, ভারতে কতিপয়। আমরা সকলেই জানি ভারতে ধর্ষণের চিত্রটা শোচনীয়, তবে সুখের কথা এই যে, তারা এজন্য পোষাক দে দায়ী করে না, বিচারহীনতা এবং ধর্ষকের কুরুচি কে দায়ী করে এবং বিচারের দাবীতে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে, পুলিশ-প্রশাসন কে বিচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে প্রবল চাপ প্রদান করে। “Rape in the United States is defined by the Department of Justice as “Penetration, no matter how slight, of the vagina or anus with any body part or object, or oral penetration by a sex organ of another person, without the consent of the victim.”এই সংজ্ঞা অনুসারে যদি বাংলাদেশ বা ভারত বা সৌদির পরিসংখ্যান দাড় করানো যেত তাহলে সেটা সদর্পে লেটার মার্কস পেয়ে যেত কোন সন্দেহ নাই।
সুতরাং, আমরা দেখতে পারি ধর্ষণের দোষ যদি নারীর ঘাড়ে চাপানো যায়, নারীকে যদি বস্তাবন্দী করা যায়, নারীকে যদি ঘরে আটকানো যায় তাহলে নারীর স্বাধীনতা চুড়ান্তরূপে লোপ পায় এবং ধর্ষকের জন্য অবাধ ধর্ষণের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয় কারণ নারী বিচার দেবার এবং বিচার পাবার সক্ষমতা হারায়। নারী হয়ে পরে হাতের পুতুল।