হবিগঞ্জে করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ঈদ শপিংয়ে মানুষের ঢল

0
0

মোঃ হাসান চৌধুরী (নবীগঞ্জ), হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ঈদ শপিংয়ে মানুষের ঢল। মহামারি করোনা দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন দেয় সরকার। কিন্তু পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। পরে সেটি দুই দফায় বর্ধিত করা হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। তাতেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এই কঠোর লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়, যা চলবে আগামী ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। এরমধ্যে গণপরিবহনও অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার শর্তে চালু করলেও তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণার মধ্য দিয়ে।এদিকে কঠোর লকডাউন চলাকালীন ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে সারা দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয় গত ২৫ এপ্রিল থেকে। সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়,কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল কিংবা দোকানপাটে যাতায়াত করতে হবে। কিন্তু নবীগঞ্জে কিছুই মানছেন না বিক্রেতা ও ক্রেতারা।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নবীগঞ্জের সব শপিংমল,মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্রেতাদের মার্কেট ও বিপণি বিতানে ভিড় করতে দেখা গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে নবীগঞ্জের অভিজাত মার্কেট গুলোতে। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। রবিবার (২ মে) শহরে ঘুরে দেখা যায়, শুধু মার্কেটই নয়- ফুটপাত ও বিভিন্ন সড়কে মানুষের ভিড়। ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিক্সার যানজট লেগে আছে প্রতিটি সড়কে। বিশেষ করে শেরপুর রোড,মধ্য বাজারসহ সহ বিভিন্ন এলাকায় ছিলো মানুষের প্রচন্ড ভিড়।ঈদের শপিং করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। রয়েছে ছোট্ট শিশু-কিশোররাও। এতে ওইসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি। কারণ করোনার কারণে এতদিন বিক্রি কম হলেও এখন বেড়েছে। ধম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি এবারের ঈদে রেকর্ডসংখ্যক বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এক শাড়ি-কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আশা করছি, আগের পুরনো অবস্থা কেটে যাবে এবং । গতবার রোজার ঈদের আগে দোকান খুলে দিলেও এত বিক্রি হয়নি। কিন্তু এবার ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভালো। আশা করছি, ঈদের আগে বিক্রি আরও জমজমাট হবে।তবে গণপরিবহন চালু না থাকায় বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সিএনজি অটোরিকশা বেশি ভাড়া দিয়ে শপিংয়ে যেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

মোঃ হাসান চৌধুরী, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিমোবাইলঃ ০১৭৩৭-৩৮৩৩৮৮

তারিখঃ ০২-০৫-২০২১ ইং

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here