দেশের একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হেলেনা জাহাঙ্গীর

0
4

এক নজরে হেলেনা জাহাঙ্গীর:- পিতা: ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হক শরীফ, মাতা: বেগম সুফিয়া শরীফ, স্বামী: মো. জাহাঙ্গীর আলম, জন্ম: ২৯ আগস্ট, ১৯৭৪, শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর পেশা: ব্যবসা, শখ: মানবসেবা, প্রিয় বন্ধু: নার্গিস মাহমুদ খান শম্পা, ভ্রমন করেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত অন্যতম। হেলেনা জাহাঙ্গীর ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য। পাশাপাশি তিনি গুলশান সোসাইটি, গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব, গুলশান হেলথ ক্লাব, বারিধারা ক্লাব ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি ক্লাবেরও সদস্য। নারী পছন্দের তালিকায় হেলেনা জাহাঙ্গীর মাদার তেরেসা, প্রিন্সেস ডায়ানা ও বাংলাদেশ রোটারির প্রথম নারী গভর্নর সাফিনা রহমানকে পছন্দ করেন। হেলেনা জাহাঙ্গীরের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে বেশ কিছু দিক। মনে প্রাণে ইসলামিক মূল্যবোধে থাকা এই গুণী নারী বাংলাদেশের জন্য কাজ করতে চান। দেশকে উচ্চ আয়ের চূড়ান্ত আদলে দেখতে চান। নারীর অধিকার আন্দোলনে তিনি কাজ করে যেতে চান অনন্ত। একজন ভাল স্ত্রী, ভাল ‘মা’ হিসাবেও তিনি সমাজ ব্যবস্থায় ভূমিকা রাখতে চান। যে স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছিল সেই লাল-সবুজের বাংলাদেশকে তিনি রঙ্গিন করতে চান।
যে কোন অঙ্গনেই নেতৃত্বের গুনাবলীর মাঝে সততা, দূরদৃষ্টি, দক্ষতা, দেশপ্রেম ও চরিত্র থাকলেই জীবনে সফলতা আসে। এই বিশেষ পাঁচটি গুনের বিশিষ্টতা নিয়েই সে কার্যত প্রকৃত ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ হতে পারেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও ইদানিং বলছেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মুলত এখন একজন ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ দরকার। একজন হেলেনা, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বটে। আরো বড় পরিসরে দেশের একজন ব্যবস্থাপক হিসাবে তিনি ভবিষ্যতে পা রাখার ইচ্ছা পোষণ করলে বাংলাদেশ উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। মনে রাখা দরকার- তোমার সামর্থ্য যদি থাকে সত্য ও সন্দরের আলয় এবং বলয় করার তবে ঐ স্থাপনার কাজে তোমাকেই সবার আগে শুরু করাটা জরুরী।

তিনি বললেন, লাল সবুজের বাংলাদেশ ছেড়ে আমার কোঁথাও যেতে ইচ্ছা করে না। পেশাগত পারিবারিক কিংবা অভিজ্ঞতার পুঁজি সমৃদ্ধগত কারণে হয়তো দেশ- বিদেশ ঘুরেছি। কিন্তু কখনো মনে হয় নাই যে বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাস করি। মন পড়ে থাকে এই বাংলায়। হয়তো নানা সময়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় আমরা হয়তো উচ্চ মানের দেশ হতে পারি নাই। কিন্তু দেশ এগুচ্ছে। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে উন্নত দেশ হবে। তার জন্য দরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা শাসক শ্রেণীর উন্নত ভিশন ও মিশন। আমরা তো রয়েছিই। সরকার ও বেসরকারী সমন্বয়ে আমরা যে কোথায় যেতে পারি তা মাঝে মাঝে আমি ভাবি। আমি বিশ্বাস করি, সু শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত হলে আমরাই বদলে দিতে পারি এই দেশটাকে।

সুত্র – তুহিন খন্দকার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here