দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দক্ষ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন এরশাদ

0
0
হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের ফাইল ছবি

সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – সেনানায়ক থেকে একজন দক্ষ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক এইচএম এরশাদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনানায়ক থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েই তিনি বললেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বাংলার মানুষ তাই তাকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে উপাধী দিয়েছে পল্লীবন্ধু।

তিনি একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক ও সেনাপ্রধান ছিলেন। প্রশাসক ও কবির স্বপ্ন একসঙ্গে একাকার হয়ে ছিল বলেই তিনি হতে পেরেছেন গতিশীল, আধুনিক ও মানবতাবাদী মনের মানুষ।

১৯৮৩ সালে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুন:প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ঘোষণা করে তিনি ১৯৮৬ সালে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচন দেন। এই নির্বাচনে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ভোটপ্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালে দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তিনি পদত্যাগ করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সফলতা পরিচয় রাখেন সবখানে। তিনি নিজের প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে চেয়েছেন নতুন বাংলাদেশ। তাই তিনি বৃটিশ আমলের ঘুনেধরা প্রশাসন ভেঙে দিয়ে সৃষ্টি করেন উপজেলা পদ্ধতি-জনগণের নির্বাচিত প্রশাসন ব্যবস্থা।

যুগ-যুগান্তরের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা তিনি পরিবর্তন করেন। প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করেন। বাস্তবায়িত করেন যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, ভূমি সংস্কার, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের হাজার হাজার প্রকল্প। এর মধ্যে কৃষি ও শিল্প উন্নয়নমুলক প্রকল্পের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া সড়ক উন্নয়নসহ যোগাযোগের আধুনিকায়ন তো আছেই।

পাশাপাশি তিনি একজন সফল সেনাপ্রধানও। পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৭৩ সালে এরশাদকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কর্নেল পদে এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

একই বছর তিনি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রতিরক্ষা কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়।

১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয় এবং ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here