অভয়নগরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি,সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

0
0

স্টাফ রিপোর্টার – লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে নিত্য পন্য সামগ্রীর মূল্য। শিল্প, বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়া ও তার আশেপাশের বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছেনা, যা পাওয়া যাচ্ছে তাও বিক্রি হচ্ছে দুইশত আশি টাকা থেকে তিনশত টাকা। আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ টাকায়, শীতকালীন বেশিরভাগ সবজী বিক্রি হচ্ছে আশি/নব্বই টাকায়, শুকনো মরিচ, বিভিন্ন প্রকার মশল্লা অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনের বাজার দর ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মিল মালিকরা কৃষকদের নিকট হতে কম মূল্যে ধান ক্রয় করে অধিক মূল্যে বিক্রয়ের আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরী করে চাউলের মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে। নওয়াপাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী আতাউর ,তৌহিদ, রহিজুর প্রমুখ বলেন, মোটা চাউলের মূল্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কেজি প্রতি সাত/আট টাকা ও ২৮ চাউলের মূল্য বেড়েছে দশ টাকা। এই চড়া মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা হুমকীর মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে বিশিষ্ট চাউল ব্যবাসায়ী মোশারফ হোসেন মুশা বলেন, কিছু অসাধু মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খান, দবির মোল্যা ও আজিম ফকীর বলেন, এ বৎসর যেখানে রবি শষ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে সেখানে সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই। তারা আরোও বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং না করার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। মাত্রাতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে হাট বাজার করতে যাওয়া ব্যক্তিদের অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। নওয়াপাড়া বড় বাজারে বাজার করতে আসা জুট মিল শ্রমিক রেখা বেগম, লিপি, ঝর্ণা বেগম বলেন, যেখানে প্রতিদিন মজুরী পাই দুইশত বিশ টাকা সেখানে কি করে বাজার করব? সন্তানদের মুখে একবেলা খাবার তুলে দেব? এ অবস্থা কত দিন চলবে? এ জিজ্ঞাসা এ রকম বাজার করতে আসা অনেক সাধারণ মানুষের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে- এরকম অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here