ডা. শাহরিয়ার আহমেদ – ইরান কি প্রকৃত মুসলিম দেশ? নাকি মুসলিম বিশ্বের গোপন শত্রু! ইরান একটি রহস্যময় প্রাচীন সভ্যতার দেশ। পৃথিবীর প্রথম দিককার সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে পারসিয়ান বা ইরানীয়ান সাম্রাজ্য ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুবিশাল। কালক্রমে বিভিন্ন দেশের আগ্রাসনের পরও তাদের ২৫০০ বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এখনও অক্ষত রয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ইরান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরান মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। বিশ্ব বাণিজ্যের বিরাট একটা অংশ ইরান প্রভাবিত অঞ্চল দিয়ে হয়ে থাকে। তাই ইরান ভৌগলিক দিক থেকে বিশ্ব শক্তি গুলোর কাছে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। বাণিজ্যিক পথ ও গ্যাস পাইপলাইনের জন্য দক্ষিণ এশিয়াতেও ইরান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পারস্যতে ইসলামের আগমন ২৫০০ বছর পূর্বে ইরানই প্রথম কেন্দ্র চালিত শাসন ব্যবস্থার প্রচলন করে বিশাল শক্তিশালী পারসিয়ান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। ইরানে ইসলামের আগমনের পূর্বে সেখানকার সর্বশেষ সাম্রাজ্য ছিল সাসানীয় সাম্রাজ্য। এটি প্রায় ৪০০ বছর ধরে রাজত্ব করে এবং এটি তৎকালীন পৃথিবীর দুইটি প্রধান শক্তির একটি ছিল। পারসিয়ান সাম্রাজ্য থেকে সাসানীয় সাম্রাজ্য পর্যন্ত প্রায় ১১০০ বছর তারা পার্সি বা জরথুষ্ট্র ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। খলিফা উমার (রাঃ) এর আদেশে ৬৫১ সালে আরবদের ইরান বিজয় সম্পন্ন হয়। তারপর থেকেই ইরানে জরথুষ্ট্রবাদের প্রভাব কমে যায় এবং ইসলামের প্রভাব বাড়তে থাকে। এর ফলে ইরান মুসলিম সুন্নি প্রধান দেশ পরিণত হয়। তারপর ১৫০১ সাল থেকে আধুনিক ইরানের জন্ম হয় সাফাবিদ শিয়া রাজবংশের অধীনে। তারা শিয়া পারসিয়ান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং ওসমানিয়া খেলাফত ও মুঘল সালতানাতের সাথে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জরিয়েছিল। তখনও ইরান সুন্নি প্রধান ছিল, সাফাবিদরা শিয়া ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করে। এরপর তারা সুন্নি মসজিদ সমূহ ধ্বংস করে সুন্নিদের হত্যা নির্যাতন শুরু করে দেয়।লক্ষ্য লক্ষ্য মুসলিম হত্যা করে সমস্ত ইরানে সাফাবিদরা ১২ ইমামের শিয়া ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারপর কালক্রমে ১৯২৫ সালে পাহলবিরা ক্ষমতায় আসে। তারা ছিল সেকুলার আমেরিকা পন্থি। ১৯৭৯ সালে খোমেনির নেতৃত্বে পাহলবিদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটানো হয় এবং ইরানে পুনরায় সাফাবিদদের ১২ ইমামের শিয়া ধর্ম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ইরানের ধর্মীয় বিশ্বাস ইরান মূলত ১২ ইমামের শিয়া ধর্মে বিশ্বাসী। শিয়া ধর্মের অনেক গুলো ভাগ আছে যাদের আকিদাগত বিশ্বাস আলাদা। আমরা শুধু ইরানি খোমেনির আকিদা বা বিশ্বাস আলোচনা করব। ইরানের ধর্মীয় নেতা রুহুল্লাহ খোমেনি “ইসনা আশারিয়া” সম্প্রদায়ের যাদেরকে আবার শিয়াদের আরেকটি সম্প্রদায় “যায়দিয়া” (ইয়েমেনি হুথি) রাও কাফের আখ্যায়িত করেছিল তবে বর্তমানে “ইসনা আশারিয়া” সম্প্রদায়ের সফলতায় অন্যরাও তাদের দলভুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে খোমেনির “ইসনা আশারিয়া” সম্প্রদায় শিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইরানের সুপ্রিম লিডার ইমাম আয়াতুল্লাহ রূহুল্লাহ খোমিনী লিখিত কিছু গ্রন্থ থেকে আমরা তাদের আকিদা জানার চেষ্টা করব-
১) সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে । [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
২) ইমাম গণের মর্যাদা নৈকট্যশীল ফেরেশতা,নবী, ও রাসূলগণেরও উর্ধে ![আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
৩) ইমামগণের শিক্ষা কূরআনের বিধানাবলী ও শিক্ষার মতই চিরস্থায়ী এবং অবশ্য পালনীয়। [আল হুকূমাতূল ইসলামীয়া পৃঃ ১১৩]
৪) আবু বকর ও উমর দিল থেকে ঈমান আনেনি বরং শুধু নেতৃত্বের লোভে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কবুল করেছিল এবং রাসূলে খোদা (সাঃ) এরর সাথে নিজেদেরকে লাগিয়ে রেখেছিল। [কাশফুল আসরার]
৫) আমাদের ইমামগণ এ জগৎ সৃষ্টির পূর্বে নূর ও তাজ্জালীর আকৃতিতে ছিলেন,যা আল্লাহ’র আরশকে বেষ্টন করে রেখেছিল,তাদের মর্যাদা ও নৈকট্যপ্রাপ্তির কথা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানেনা। [আল বিলায়াতুত তাকবীনিয়্যাহ শিরোনামে ‘আল হুকূমাতুল ইসলামীয়াহ’ গ্রন্থে:পৃঃ৫২]
৬) আমাদের ইমামগণ ভূল ও গাফলত হতে মুক্ত-পবিত্র। [আল হিকমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ৯১]
ইমাম মালিক(র), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র), ইমাম বুখারী(র), ইমাম গাযযালী(র), ইমাম শাফিঈ(র), ইমাম ইবনে তাইমিয়া (র) সহ সকল হকপন্থি উলামারা শিয়াদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে গেছেন। বর্তমান শিয়াদের ৯০% আকিদা-আমল এর ক্ষেত্রে রাফেযী অর্থাৎ জাতিগত কাফের। এরপরেও একশ্রেণীর অন্ধ,নিফাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখ-কান বন্ধ করে চিৎকার করে যায় “সব শিয়া রাফেযী না”। বস্তুত, রাফেযী বাছতে শিয়া উজার।এমনকি গর্বের সাথে ‘রাফেযী/রাফিদ’ নাম রাখা ও নিজেদের জন্য ব্যবহারের অহরহ প্রচলন দেখা যায়! বাংলাদেশি শিয়ারা ইরানকে অত্যধিক ভালোবাসে যেমনটা হিন্দুরা ইন্ডিয়াকে ভালোবেসে থাকে। তারা ইরানকে তাদের ধর্মীয় তীর্থস্থান মনে করে।
ইরানের উদ্দেশ্য
ইরানের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাফাবিদদের মত সাম্রাজ্য বিস্তার করা। সাফাবিদরা না থাকলে হয়ত আজকে আমাদের ইতিহাস অন্যরকম হত। ইউরোপে সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা ও নৌ বাহিনী ছিল ওসমানিয়দের কিন্তু তারপরও তারা সমগ্র ইউরোপ বিজয় করতে পারে নি এই সাফাবিদ শিয়াদের কারণে। সাফাবিদ শিয়াদের সাথে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে সমগ্র ইউরোপ খেলাফতের পতাকার অধীনে আসতে পারে নাই। সাফাবিদরা খেলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল এবং তাদের এই সাম্রাজ্যকে পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের আদলে গঠন করা হয়েছিল। ১৯৭৯ বিপ্লবের পর খোমেনিও পারসিয়ান সাম্রাজ্যের আদলে শিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই তারা লেবানন, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনে মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেছে। ইরান আমেরিকার সহযোগিতায় ইরাক দখল করেছে। এখন তারা সিরিয়া ও ইয়েমেন দখলের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
বর্তমান ইরান অত্যন্ত ধূর্ত। তারা সাফাবিদদের মত নিজেদের প্রকাশ করছে না। বাংলাদেশি অনেকের মধ্যেই ইরান প্রীতি দেখা যায়। কারণ ইরান নিজেদের মুসলিম ও ইসলামের অভিভাবক হিসেবে দেখাতে চাই এবং এতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোও তাদের এক্ষেত্রে সহায়তা করছে। সত্য হচ্ছে ইরান কখনই ইসলামের অভিভাবক ছিল না। তারা ওসমানিয়া খেলাফতের ও মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করেছিল। এখনও তারা সিরিয়া, ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করছে। ইরান ইরাকি মুসলিমদের সাথে কেমন আচরণ করছে তা শোনা যাক
কয়েক বছর আগে মিশরের একটি টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানে শেইখ জহবি হাম্মাদ ইরাকের সুন্নিদের সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, আর তখন ইরাকের বাগদাদ থেকে একজন সুন্নি মুসলিম ফোন করে নিজের করুন কাহিনী বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনার কিছু বক্তব্য এরকম-
“হে শেইখ, আমাদের মেয়েদেরকে বন্ধী করা হচ্ছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের পুরুষদের দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, তাঁদেরকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, বৃদ্ধাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। তাঁরা আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে কারন তাঁরা চায় আমরা যেন মা আয়েশা আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে গালি দেই (নাউজুবিল্লাহ)। এমনকি
তাঁরা আমাদেড় দাড়িতে ময়লা লাগিয়ে আমাদের অপদস্থ করেছে। হে আহলুস সুন্নাহর অনুসারিরা তোমরা কোথায়… আমাদের রক্ষা কর।” “তারা আমাদের মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে; আমাদের মাঝে যাদের নাম আবু বকর, ওমর, ওসমান আছে তাঁদেরকে তাঁরা জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করছে। তাঁরা আমাদেরকে মা আয়েশার আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে গালি দিতে বাধ্য করছে, যখন কেউ তা করতে অস্বীকার করে তাঁদের আঙুল কেটে ফেলা হচ্ছে।” “ও শেইখ! আমি একটি মেয়েকে দেখেছি যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সে মেয়েটি আল্লাহ্র কসম করে বলেছে- ওয়াল্লাহি, আমি কুমারি ছিলাম! ওয়াল্লাহি আমি কোরআনের হাফিজ ছিলাম! সে চিৎকার করে বলে- কে আমার গল্প রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কাছে পৌঁছে দিবে?” “হে শেইখ! এবার আমার নিজের কাহিনী শুনুন। রাফিজিরা আমার তিন বছরের ছেলেকে ওভেনের ভিতর দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। কারণ তাঁর নাম রেখেছিলাম ওমর। এরপর তাঁরা তাঁর পোড়া মৃত দেহ আমার কাছে রেখে যায়।” ………
আমরা ইসরাইলি স্নাইপারদের শিশু হত্যার কথা শুনেছি কিন্তু সিরিয়াতে স্নাইপারদের শিশু হত্যার কথা আমরা কয়জন শুনেছি? সিরিয়াতে ইরানের বর্বরতা ইতিহাসের পৃথিবীর সকল বর্বরতাকে হাড় মানিয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়া গুলো ইরানি বর্বরতা প্রকাশ করছে না কারণ তারা শিয়াদের ব্যবহার করছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে। সিরিয়ার মুসলিমদের কোন মিডিয়া নেই তাই তাদের কথা শোনার মতও কেউ নাই।
দক্ষিণ এশিয়াই ইরান
ইন্ডিয়ার সাথে ইরানে অর্থনৈতিক, স্ট্রাটেজিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। কখনও যদি পাক-ভারত যুদ্ধ হয় তাহলে ইন্ডিয়ার জন্য ইরান এবং আফগানিস্তানের সহায়তার প্রয়োজন হবে। এই উপমহাদেশে ইরান অনেক কৌশলী ভূমিকা পালন করছে। তবে সবদিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে ইরান ইন্ডিয়াকেই সমর্থন দিবে। ইরানের পর সবচেয়ে বেশি শিয়া ইন্ডিয়াতে আছে। ইতিমধ্যেই ইরান তাদের কৌশলগত সমুদ্রবন্দর চাবাহার ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে। আফগানিস্তানে ইন্ডিয়া ইরান একইসাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মুসলিম বিশ্বে ইরান
ইরান কখনও মুসলিম বিশ্বের উপকার করে নি। অতিতে তারা মুসলিম বিশ্বের সাথে অসংখ্য যুদ্ধে জরিয়েছিল। বর্তমানেও তারা মুসলিমদের হত্যা করছে। ইরান সিরিয়ার ৯০% মুসলিমের তোয়াক্কা না করে ১০% শিয়া আলাওতির জন্য সমস্ত সিরিয়াকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা “গ্রেটার ইসরাইলের” মত” গ্রেটার ইরানের” পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে। আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে যে সবসময় শক্তিশালীদের পক্ষাবলম্বন করা। বছর খানেক আগেও যারা আমেরিকাকে সমর্থন করত তারাই এখন আবার রাশিয়াকে সমর্থন করছে। ইরানের মিডিয়া আছে , জাতিসংঘে আসন আছে তাই আমরা ইরানের কথাই শুনতে পাই সিরিয়ার সাধারণ মানুষের কান্না শুনতে পাই না।”
ইরান সম্পর্কে এক পোস্টে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। ইরান দীর্ঘ অবরোধের মধ্যেও শক্তিশালী হয়েছে। ইরান জাতিসংঘের নাকের ডগায় থেকে ইরাক, সিরিয়াতে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করেছে। ইরানে পারমানবিক কর্মসূচি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে এই সবকিছুই অনেক সন্দেহের জন্ম দেয়। আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেন-
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। (Al-Baqara: 11-12)
আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক। (Al-Baqara: 204)
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। (Al-Baqara: 13)
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। (Al-Faatiha: 6-7).