নাজিম উদ্দীন জনি,স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে জুম্মার নামাজের পর ইমাম সাহেবকে রাখা না রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মুসল্লীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৮ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার(১৫ এপ্রিল) উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সামটা দেউলী গ্রামের মসজিদের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৮) পিতা সিরাজুল ইসলাম। রিঙ্কু (৪০) পিতা সিরাজুল ইসলাম, সেলিম রেজা(৪০) পিতা মহসিন, মুক্তার আলী (৪৩) পিতা এরশাদ, নজরুল (৪৮) পিতা রওশন শফিকুল ইসলাম (৪০) পিতা রওসন সোহরাফ(৫০) পিতা মুক্তার আলী, চয়ন (২৭) পিতা সোহরাব, আব্দুস সামাদ (৪৬) পিতা আব্দুল আজিজ, আনারুল (৩৬) পিতা মহাসীন, বিসা (৪৫) পিতা নাজের আলী, হযরত আলী (৪৫) পিতা নাজের আলী, বিপ্লব হোসেন (২৭) পিতা হযরত আলী, মাসুম (২৭) পিতা হযরত আলী, আরসাদ আলী (৫৫) নাজের আলী , শওকত আলী (৬০) পিতা নাজের আলী। আরিজুল (৪৪) পিতা মফেজ উদ্দিন মফিজুর (সাইট) পিতা নাজির,নূর হোসেন (৬০) পিতা বাদু, রিপন (৩০) পিতা নূর হোসেন আলী হোসেন (৫৫) পিতা বাদু সর্ব সাং দেউলি থানা ঝিকরগাছা জেলা যশোর।
জানা যায়, মসজিদের ইমাম শার্শার সাতমাইল গ্রামের আব্দুর রউফ দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ মসজিদের ইমামতি করে আসছেন, তিনি গত তিন মাস যাবত অসুস্থ থাকায় নামাজ কালাম নিয়মিত পড়াতে আসতে পারেন না।জুম্মার নামাজের আগে একপক্ষ ইমাম পরিবর্তন করতে চায়, যেহেতু সে অসুস্থ নামাজ ঠিকমত পড়াতে আসতে পারেন না। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষ ইমাম পরিবর্তন না করে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করলে সাথে সাথে এক পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে ইমাম রাখবে না উপর চড়াও হয়। ওই সকল ঘটনা কে কেন্দ্র করে আজ জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর উভয় পক্ষ ইমাম নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারার কারণে বাক বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে এবং হাতাহাতি ও পরে লাঠি সুঠা নিয়ে প্রথম পক্ষ প্রচন্ড ভাবে আক্রমণ করলে দ্বিতীয় পক্ষের অনেকেই মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এবং দ্বিতীয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের অধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানাযায়।
আহতদের কে ঝিকরগাছা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে কারও কারও অবস্থা আশংকা জনক দেখা দিলে তাদেরকে পরবর্তীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরে রেফার্ড করে ভর্তি করা হয়েছে বলে সর্বশেষ জানা যায়।
বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কামরুজ্জান জানান, যে ঘটনা সত্য, উভয়ই পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন, ও কেউ কেউ হাসপাতালে ও ভর্তি হয়েছে, ওসি স্যার ও স্পটে আছেন,এখন আর কোন সমস্যা নাই পরিস্থিতি সাভাবিক। মামলার ব্যপারে জানতে চাইলে বলেন যে এখনো কোন অভিযোগ হয়নি। এই মুহূর্তে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানাযায়।