এগিয়ে চলেছে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ  

0
1

মোহাম্মাদ রায়হান – নড়াইল জেলার লোহাগড়া ও গোপালগঞ্জ জেলার ঘা ঘেষে বয়ে চলে মধুমতি নদী। এই নদীর উপর নির্মান কাজ চলছে কালনা সেতু। কালনা সেতুটি হবে ছয় লেনের। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৯৫৯ কোটি টাকা।

সেতুটি না থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত। এই সেতু চালু হলে মধুমতি নদীর উভয় পাড়ের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে কমবে দুর্ভোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে গোটা বরিশাল বিভাগ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরাসহ আশপাশের আরো কয়েকটি জেলার মানুষ সুফল পাবেন।

ঢাকা থেকে এই সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঢুকতে হলে মধুমতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা ছিল জরুরী। কালনা ঘাটে সেতুছিল এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বেই সেতু নির্মানের ঘোষনা দিয়েছিলেন। পরবর্তি মেয়াদে সরকার গঠন করে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সেতুটির ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ-নড়াইলের মাঝখানে মধুমতি নদীর ওপর কালনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প অনুমোদন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পরও নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন কাজ আটকে ছিল।

ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক কে এম আতিকুল হক জানান, গত ২৪ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেট এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হবে। জাপানের টেকনেক করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লি: যৌথভাবে সেতুটির ঠিকাদার। এর ফলে গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে আরো একধাপ এগিয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমী ছয় লেনের সেতু হবে গোপালগঞ্জের কালনা সেতু। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োজিত ঠিকাদারকে ৩৬ মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here