ফিরোজ জোয়ার্দ্দার- সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অসাস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সকলকে একত্রে কাজ করার আহবান জানিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেছেন, দেশের মানুষ আজ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে সক্ষম হয়েছে শুধু মাত্র শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে৷ শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে দাড় করাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন৷ সেখানে বাংলাদেশে থাকবে না জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সেজন্য পুলিশ বাহিনী তাদের জীবন বাজি রেখে সন্ত্রাস মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে প্রথমে পুলিশের দারস্ত হয়। সেই পুলিশ বাহিনী নিজেদের দায়িত্ব পালনে অনেক সময় জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে হয়। সম্প্রতি কোপা বাহিনী’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা কোন দলের না। এদেরকে যারা আশ্রয় প্রশ্রায় দেয় তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে৷ সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না তাদের কঠোে হাতে দমন করা হবে। কারণ শান্ত কলারোয়াকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে অশান্ত করতে চাই তাদের প্রতিহত করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশকে দিক নিদের্শনা দেন তিনি। তাছাড়া আগামীতেও ব্যাপক হারে জগন্নাথের রথযাত্রা উৎসব পালন করবে সনাতন ধর্মাম্বলীর মানুষগুলো। তাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে গিয়ে নেতৃবৃন্দকে একসাথে রথযাত্রা উৎসব পালনের পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) বিকালে উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ, সনাতন ধর্ম স্বেচ্ছাসেবী পরিষদ ও গীতা পরিষদের আয়োজনে হাজার হাজার নারী- পুরুষ ভক্তবৃন্দর উপস্থিতিতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার র্যালীর আগে হরিতলা পূজা মন্দির প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার প্রধান অতিথী’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। নয় দিন ব্যাপী রথযাত্রা উৎযাপনে উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ কুমার পালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, আব্দুর রহিম, অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ মিত্র, সন্দীপ পাল, দীলিপ অধিকারীসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ঝিকরা হরিতলা পূজা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য রথ শোভাযাত্রা উৎসব শুরু হয় আর তুলসীডাঙ্গা গোগ রাধা মন্দিরে আগমন এবং পরবর্তী আট দিন তথায় প্রত্যহ ভবগত পাঠ ভজনকীত্তণ ভোগরাগ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয় বলে আয়োজক কমিটি জানান।