বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসির অভিযোগ, মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকার দুইশত বিঘা জমি দখল করে কয়েক বছর ধরে ঘের করছেন পার্শ্ববর্তী পঞ্চকরণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মজুমদারও তার অনুসারীরা।এই ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থে দখল করে নেওয়া জমিতে লবন পানি তুলে চিংড়ি মাছের চাষ করে থাকেন। ঘের সংলগ্ন ওয়াবদার বেড়িবাধ, সরকারি রাস্তা ও খালও এই ঘের ব্যাবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। তাদের সুবিধা অনুযায়ী রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে পানি ওঠানামা করাচ্ছে। ফলে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা, পায়ে হেটেও কেউ গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা। জমির মালিকরা পাচ্ছেন না হারির টাকা। পারছেন না একাধীক ফসল ফলাতে।
জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের জমি দখল মুক্ত করার দাবিতে আজ দুপুরে মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে জমি দখল মুক্ত করাসহ ভূমিদস্যুদের বিচার দাবি করেন তারা।
তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান জালাল আহমেদ লাল, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আব্দুল বারেক হাওলাদার, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয় কুমার মন্ডল, ফনিভূসন, আব্দুল মান্নান আকন, অমল হালদার, জামেনা বেগম, আলীম খানসহ অনেকে বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি এলাকার নিরহ মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কারণে কৃষকরা ধান ফলাতে পারছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। ওই ঘেরে আমাদেরও ১২ বিঘা জমি রয়েছে। আমরা কারও জমি জোরপূর্বক দখল করিনি। ঘেরে অন্য যাদের জমি রয়েছে, তাদেরকে নিয়মিত হাড়ির টাকা দিয়েই ঘের করছি’।