ফেসবুকে আপত্তিকর পোষ্টদাতা দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন রমনি বশ্বাসের ছেলে কৌশিক বিশ্বাস(২০)। এ ছাড়া বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্থ রমনি বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ২০ জন। যার ১৭জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৮০-৯০ জন।বসতঘর ভাংচুরের মামলায় রেজাউল, আবু তাহের মিনা, সাইফুল, জাকির খান, আনোয়ার হোসেন, হারুন শেখ, সজীব, জাফর শেখ, কালাম শেখ, রকিবুল শিকদার, জামাল মিনা, রাজিব, জহির, নাজমুল শেখ, আবু বকর মিনা, মিনহাজ ও নাসির শেখকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানিয়েছেন।
ঘটনার রাতেই জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, ডিজিএফআই এর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুম্মান মাহমুদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার(বিএন) এম কাউসারুল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশ, র্যাব-৬ ও এনএসআই পৃথক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ভাংচুরকৃত রমনি বিশ্বাসের বসতঘরটি বসবাসের উপযোগী করতে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এখানে আঁধাপাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রসংগত, সম্প্রতি রমনি বিশ্বাসের ছেলে কৌশিক বিশ্বাস তার ব্যবহৃত ‘জেহাদি তোষনকারী’ ফেসবুক আইডি থেকে একটি আপত্তিকর পোস্ট দিলে তা স্থানীয়দের নজরে আসে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে আমরবুনিয়া জামে মসজিদ মাঠে কৌশিককে ডেকে বিচার করা হয়। সন্ধার পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে আমরবুনিয়া, জিউধরা, গুলিশাখালী ও মোংলার কচুবুনিয়া গ্রাম থেকে শতশত লোক জড়ো হয়ে মিছিলসহকারে কৌশিকের বসতবাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।