স্টাফ রিপোর্টারঃযশোরের শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে লতা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
বুধবার(৩ এপ্রিল) শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত লতা খাতুনের স্বামী মোফাজ্জেল হেসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুএে জানাযায়, জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী মৃত আকরামের ছেলে তৌহিদ হোসেনের সাথে দীর্ঘদীন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।সোমবার দুপুরে মোফাজ্জেলের একটি গরু তাদের সীমানা পিলার ভেঙ্গে ফেলে।এসময় প্রতিবেশী তৌহিদ হোসেন মোফাজ্জেলের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রী লতা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এবং মারতে উদ্যত হয়।এসময় স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও চড় থাপ্পর মেরে ফোলা জখম করে চলে যায়।এর কিছুক্ষন পর তৌহিদ তার গোগা গ্রামস্থ শ্বশুর ইসমাইল ও শ্যালোক রনিকে সংবাদ দিয়ে বেশ কয়েকজন দ্বিতীয় দফায় বাশের লাটি ও কাটের বাটাম দিয়ে মোফাজ্জেল ও স্ত্রী লতা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে মারাত্নক জখম করে গলায় এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীরা মারাত্নক আহত লতা খাতুনকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
লতা খাতুনের মাথায় ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে অভিযোগে জানাযায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান,তুচ্ছ ঘটনায় তারা দুই পক্ষ প্রথম দফায় গন্ডগোল বাঁধালে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে চলে আসলে তৌহিদ এর শশুর ও শালোক এসে আবার হট্টগোল বাঁধালে গ্রামবাসী চড়াও হয়।পরে আমি তৌহিদের শশুর ও শালোককে ক্লাবে এনে রাখি এবং আহত মোয়াজ্জেম এর স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি। ঘটনাটি দুঃখজনক বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল বলেন, অভিযোগে পেয়ছি বিষয়টি তদন্তের জন্য থানা থেকে অফিসার পাঠানো হয়েছে।তদন্ত শেষ পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।