শার্শায় প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অন্তঃসত্ত্বা,ধামাচাপা দিতে গর্ভপাত,অন্তঃপর মামলা

0
0

নাজিম উদ্দীন জনিঃ যশোরের শার্শায় শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়ে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে আবু তালেব (৬০)নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।

পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাত ও করানো হয়েছে।

এ ঘটনায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) কিশোরীর মাতা বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা নং ৩।

ধর্ষক আবু তালেব ওই গ্রামের ঘরজামাই ও একই উপজেলার বসতপুর কলোনী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

মামলা সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিচন্দ্রপুর গ্রামের ধর্ষিতা কিশোরী জন্ম থেকে বুদ্ধি ও শারিরীক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই প্রতিবেশী আবু তালেবের বাড়িতে যেতো। এ সুযোগে গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বৃদ্ধ আবু তালেব মিষ্টি খাইয়ে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরদের জানান কিশোরীর বাবা। তারা বিচার না করে কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোগা বাজারের শোভা ডেন্টাল কেয়ারের মালিক পল্লী চিকিৎসক রেজার স্ত্রী মিনার মাধ্যমে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।বিষয়টি জানাননি হলে শার্শা থানা পুলিশ ওই কিশোরী পরিবারকে আইনি সহায়তা দিলে কিশোরী মা থানায় গিয়ে মামলা করেন।

কিশোরীর মা জানান,মেয়ের নিয়মিত ঋতুস্রাব হতো হঠ্যাৎ ঋতুস্রাব দেড় মাস বন্ধ হয়ে যায়।পরে মনে সন্দেহ হলে টেষ্ট করে গর্ভবতী দেখা যায়।পরে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তার মেয়ে তাকে জানানোর চেষ্টা করলেও তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে একসময় তালেব দাদা নাম বলে তার মেয়ে কেঁদে ওঠে। তখন তার মেয়ে বলে তালেব দাদা বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেছে।

ওই কিশোরীর মা বলেন, এলাকার মাতবর পল্লী চিকিৎসক মাহাবুর রহমান বন্যাকে জানালে সে গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেয়।গর্ভপাত করে এখন বিপাকে পড়েছিলাম।পরে কেউ কোন বিচার করছিলো না পরে শার্শা থানার ওসি সাহেব আমাদের বাড়িতে গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দিলে থানায় এসে মামলা করেছি।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান , ধর্ষণের ফলে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ও গর্ভপাত ঘটানোর প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা সাপেক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯/১ ও ৩১৩ পেনাড কোড অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে।ধর্ষককে আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে নেমেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here