বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাকিবের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীকে মৃত্যমুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় অমনোযোগ ও অবহেলার কারণে এক সিজারিয়ান রোগীর জরায়ু কেটে ফেলেছেন এই ডাক্তার রাকিব।
জানা গেছে, উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে অবস্থিত নিউ সুন্দরবন ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে আসেন রাজৈর গ্রামের বেল্লাল বেপারীর স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫)। গত ২৮ জুন সেখানকার ক্লিনিকের তালিকাভূক্ত ডাক্তার রাকিব তাদের সিজারের জন্য ভর্তি করেন। ওই দিন বিকালে সিজারকালে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলেন ওই ডাক্তার রাকিব। বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রোগীর আত্নীয়রা।
ভুক্তভোগীর স্বামী বেল্লাল বেপারী বলেন, “একজন এমবিবিএস ডাক্তারের এমন অবহেলা মানা যায় না। জরায়ু কেটে ফেলে উপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে অস্বীকার করা অন্যায়”।
ভুক্তভোগী হালিমা জানান, জরায়ু কেটে ফেলার কথা ডাক্তার আমাদের বলেননি। ২-৩ দিন পার হওয়ার পরেও যখন রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছেনা তখন আমরা নার্সের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে ডাক্তার রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জরায়ু আগে থেকে ফাঁটা ছিল। অথচ আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে এমন কিছু পাওয়া যায়নি” এবং কোন ব্যাথাও ছিলনা। ডাক্তারের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন হালিমা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাক্তার রাকিবের বিরদ্ধে রোগীকে অবহেলার অভিযোগ নতুন নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই ডাক্তার সার্জারিতে অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও স্থানীয় নিউ সুন্দরবন ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়মিতই সিজার করছেন। তার টাকার ক্ষুধা মেটানোর নেশায় দিনদিন রোগীদের নানা জটিলতার মুখোমুখী হতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে ডাক্তার রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চিকিৎসা দিতে গেলে অনেক সময় ভুল ভ্রান্তি হয়। তবে উল্লেখিত রোগীর জরায়ু আগে থেকেই ফাঁটা ছিল বলে কেটে ফেলেছি।