জহর হাসান সাগর( তালা প্রতিনিধি):
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ভবতোষ মন্ডল এর বিরুদ্ধে জলমহল খাস ইজারা প্রদানসহ একাধিক ব্যক্তির নিকট হতে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীনের কক্ষে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা কলাগাছি গ্রামের ব্রজেন সরকারের পুত্র চতুর সরকার (৪৪) ।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, গত ২৩ জুন সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সরজমিনে উপস্থিত থাকা অবস্থায়, তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের ব্রজেন সরকারের পুত্র চতুর সরকার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ভবতোষ মন্ডল এর বিরুদ্ধে কলাগাছি বাঁশতলা জলমহল খাস ইজারা প্রদান বাবদ ৪৫ হাজার টাকা ঘুস গ্রহনের অভিযোগ করেন ।
চতুর সরকার বলেন, আমি গত এপ্রিল মাসে কলাগাছি বাঁশতলা জলমহল ইজারার জন্য ইউএনও অফিসে আবেদন করি । সেই মোতাবেক ভবতোষ বাবু আমাকে বলেন,আপনি ইজারা পাবেন, তবে কিছু খরচ হবে । আমার নিকট হতে তিনি প্রথমে ৪০হাজার টাকা গ্রহন করেন । ২য় বার বিকাশে ২হাজার ৫শত টাকা গ্রহন করেন । ৩য় বার ২হাজার ৫শত টাকা গ্রহন করেন ।
৩০এপ্রিল ২০১৯ তারিখে ০৫.৪৪.৮৭৯০.০০০৩৩.০০১.১৯-৪০৬ স্বারকে ২২হাজার ৫শত টাকা মুল্যে আমাকে কলাগাছি বাঁশতলা জলমহল ইজারা প্রাপ্তির অনুমতি পত্র বা চিঠি দেন । আয়কর/ভ্যাট বাবদ টাকা কর্তন করার কথা না থাকলেও ২২হাজার ৫শত টাকা পরিবর্তে ২৯ হাজার ৫শত টাকা নায়েব গ্রহন করেন । অথচ খাস কালেকশানের জন্য কোন ব্যক্তির নিকট হতে অগ্রিম টাকা গ্রহন করার কথা নয় ।ডিসি অফিসে ৩বার টেন্ডার আহবান করে যদি কোন আবেদন না পাওয়া যায়, তবে ৩বারের পর উপজেলা নির্বাহী অফিস বরাবর খাস কালেকশনের জন্য বলা হবে । কলাগাছি বাঁশতলা জলমহল ইজারা প্রদানে ডিসি অফিসের জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরীত ৩১.৪৪.৮৭০০.০০৬.১০.০০৪.১৮-৪৭৫ স্বারকে টেন্ডারের শেষ তারিখ ছিলো ০৯ মে ২০১৯ ।
অথচ ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক ভবতোষ মন্ডল ঘুষের বিনিময়ে তাহাহুড়া করে ডিসি অফিসের অনুমতি ব্যতিরেকে খাস ইজারা আবেদনকারী চতুর সরকারকে ৩০/৪/২০১৯ তারিখে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ০৫.৪৪.৮৭৯০.০০০৩৩.০০১.১৯-৪০৬ স্বারক অনুমতি দেয়া হয় । যা নিয়মের পরিপন্থি ।
অফিস সহায়ক ভবতোষ এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ । তিনি স্কুল পরিদশনের নাম করে চিঠি পাঠিয়ে দেন । স্কুল পরিদর্শন না করিয়ে ২হাজার টাকার বিনিময়ে স্কুলের পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেন । ইউএনও সাহেবের কাছে কোন আবেদন করতে হলে ভবতোষ মন্ডলকে ৫শত টাকা করে দিতে হয় । তাহা না হলে কেচের তারিখ পড়ে না । বিভিন্ন টেন্ডারের সময় তাকে টাকা না দিলে নানান রকম টাল বাহানা করে ।প্রতিটি খাস ইজারা হতে তাকে হাজার হাজার টাকা উৎকোচ দিতে হয় । তাহা না হলে খাস বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয় । উক্ত সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান,সাংবাদিক মোঃ আকবর হোসেন, সাংবাদিক এম এ ফয়সাল, সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান,উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ তাপস,উপজেলা নির্বাহী অফিসের সদস্যবৃন্দ এবং অভিযুক্ত ভবতোষ মন্ডল প্রমুখ ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক ভবতোষ মন্ডল বলেন,আমি ঘুষ বাবদ কোন টাকা গ্রহন করিনী । তবে বিকাশে টাকা গ্রহনের কথা জিঞ্জাবাদে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননী ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন বলেন,বিষয়টি আমি শুনলাম । লিখিত অভিযোগ পেলে এবং অপরাধ প্রমানিত হলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।