সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – মিছিলে হামলা ও মামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সমর্থকরা। সোমবার রাতে এ বিক্ষোভের ডাক দেয় তারা। এর আগে, ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে নুরকে আটক করে পুলিশ।
আটকের ২ ঘণ্টা পর ভিপি নূর ও সোহরাব হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর পুলিশ হেফাজতে তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়।
রমনা জোনের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে নুরসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। তিনি জানান, মিছিলটি শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। পরে তাদের আটক করা হয়।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রোববার ধর্ষণ মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে ভিপি নুরসহ বাকি ৫ জনকে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ওই ছাত্রীকে হাসান আল মামুন লালবাগের নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে তার বাসায় যেতে বলে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।এরপর মামুনকে বিয়ের কথা বললে তিনি টালবাহানা শুরু করেন বলে ওই ছাত্রীর অভিযোগ।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ২০ জুন নুরের কাছে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। নুর তখন মীমাংসার আশ্বাস দিলেও পরে অবস্থান পাল্টে তাকে ‘বাড়াবাড়ি করতে’ নিষেধ করেন।এজাহারে বলা হয়েছে, নুর বলেন, আমি যদি বাড়াবাড়ি করি, তাহলে তাদের ভক্তদের দিয়ে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করাবে এবং আমাকে পতিতা বলে প্রচার করবে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার পরিষদ গত বছর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হন নুর।