যশোরের বেনাপোলে প্রবাসী জামাল হত্যার খুনিদের আটক ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

0
0

নাজিমুদ্দীন(জনি) শার্শা প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোলে প্রবাসী জামাল হোসেনের খুনিদের আটক ও দ্রুত বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করেছেন পরিবারের সদস্যরা ও  গ্রামবাসী।

সোমবার (২০মে) দুপুরে বেনাপোল পোর্টথানার ধান্যখোলা মাদ্রাসার সামনে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শশুর বাড়িতে খুনের শিকার প্রবাসী জামালের ছোট ভাই মামলার বাদী বাবলুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভাইয়ের তিন হত্যাকারীর নাম উল্লেখ্য করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরও তাদের নামে মামলা হলো না। এখন শুনছি আমার ওই মামলায় সব অজ্ঞাত আসামী হয়েছে। তখন আমি পুলিশের কাছে মামলার কপি চেয়েছিলাম। তারা বলেছিল পরে দেব। এখন বুঝতে পারছি আসামীদের বাঁচানোর জন্য আমাকে মামলার কপি দেয়নি। আমরা এ মামলা মানি না, প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো।

এ দিকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত মামলা দায়ের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবেশিরাও। গ্রামবাসীরা জানান, অভিযুক্তদের তিন দিন থানায় আটকে রেখে পুলিশ দেনদরবার করে। এত বড় একটা ঘটনা দামাচাপা পড়ে যাবে?
রাতে জামাল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঘরে ছিল। গভীর রাতে তাকে বাড়িতে কুপিয়ে খুন করা হলো। পুলিশ বাড়ি থেকে স্ত্রী, শশুর শাশুড়িকে আটকও করল। এ মামলায় আটকরা সকলে অজ্ঞাত আসামী কিভাবে হয়?

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালে মাসুদ করিম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়ায় আটকদের নামে হত্যা মামলা হয়নি। অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ওটা ওদের কথা ।

এর আগে প্রতিবেশি রেজাউল টুকির মেয়ে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় হত্যার শিকার জামালের। বিয়ের পর সে সংসারে স্ব”ছলতা আনতে বিদেশ (মালয়েশিয়া) যায়। সেখানে থাকাকালীন সময়ে টাকা-পয়সা সব শশুর বাড়িতে পাঠাতো। ইতিপূর্বে সে তিন বার বাড়িতেও এসেছে। কিন্তু স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এর আগেও জামালকে একবার হত্যা করার চেষ্টা করে স্ত্রী। গত ১৪ মে সে বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরে। এদিন সে উপহার সামগ্রী নিয়ে শশুর বাড়িতে যায়। হঠাৎ রাত ১২ টায় শশুর বাড়ির লোকজন চিৎকার করে রোহিঙ্গারা জামালকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে। পরে জামালের স্বজনরা শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে ঘরের সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে আছে। পরে তারা বুঝতে পারে স্ত্রী, শশুর-শাশুড়ি মিলে জামালকে খুন করে রোহিঙ্গা নাটক সাজিয়েছে। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে বাড়ি থেকে স্ত্রী,শশুর-শাশুড়িকে আটক করে জামালের লাশ নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এদিন পোর্টথানা পুলিশের তদন্ত ওসি আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তারা অভিযুক্ত মনে করে জামালের স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here