ন্যায্য মুল্য না পেয়ে কৃষক ধান ক্ষেতে আগুন দেয় অথচ ভারত থেকে চাল আমদানি চলছে।এটা কাদের স্বার্থে? – ডাঃ বাহারুল আলম

0
0
ফাইল ছবি

ডাঃ বাহারুল আলম – ন্যায্য মুল্য না পেয়ে কৃষক যখন ধান ক্ষেতে আগুন দেয় তখন ভারত থেকে চাল আমদানি কাদের স্বার্থে?
ভারত থেকে আমাদের চাল আমদানি সে দেশের কৃষকদের ধান বা চালের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। অথচ আমরা যদি চাল রপ্তানি করতে পারতাম তাহলে আমাদের কৃষকরাও ন্যায্য মূল্য পেত ।

যে কারণে চাল আমদানির উপর শুল্ক তুলে নেওয়া হল সে কারণ এখন আর নাই । তারপরেও আমদানি থেমে থাকে নি। উদ্বৃত্ত উৎপাদনের পরও ব্যবসায়ীরা শুল্কমুক্ত চাল আমদানির অনুমতি পেলে- একদিকে রাষ্ট্র কর হারাচ্ছে অন্যদিকে আমাদের কৃষকদের ধানের মূল্যের উপর প্রভাব পড়ছে।

আমাদের কৃষকদের ধানের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারস্পরিক কোন তথ্য আদান-প্রদান হয় বলে – প্রতীয়মান হয় না । রাষ্ট্র কেবল ফসল উৎপাদনের পেছনে উদ্যোগ বা কর্মসূচি গ্রহণ করে। উৎপাদিত ফসলের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়ে । ফলন ভাল হলে কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনা বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রের উচিত ভর্তুকি দিয়ে ফসল ক্রয় করা ।

চাল আমদানির অনুমতি আর ধান ক্রয়ে কৃষককে ভর্তুকি না দেওয়া- উভয় সিদ্ধান্ত আগামী দিনে কৃষককে ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করবে।

ধান, চাল যথেষ্ট উৎপাদন ও মজুত থাকার পরেও ভারত থেকে চাল আমদানির মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বন্ধ করার প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

ইদানীং কৃষি শ্রমিকের তীব্র অভাব । কৃষি শ্রমিকরা তাদের শ্রমের অবস্থান পাল্টে অন্য শ্রমে নিয়োজিত করেছে। ফলে ধান উৎপাদনে শ্রমিকের বিকল্প যন্ত্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা খুবই জরুরি । কৃষি শ্রমিকের অভাবে আগামীতে ধান/ অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমে যেতে পারে । কৃষকরাই রাষ্ট্রের প্রাণ , অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাহলে রাষ্ট্র ও রাজনীতি কাদের স্বার্থে ?মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ বছর পরেও কৃষকরা শোষণ মুক্ত হতে পারল না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here