নবীগঞ্জে পুলিশ কোপানোর ঘটনার সাড়ে ৪ মাসসন্ত্রাসী মুছা ও পারভেজ অধরা !

0
0

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :
নবীগঞ্জে পুলিশের ওসি-এসআইকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষতকারী তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মুছা ও তার সহযোগী মাদক স¤্রাট শহরের ত্রাস পারভেজকে সাড়ে ৪ মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন! পুলিশের দাবী- বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মুছার কোনো হদিস পাচ্ছেনা তারা। তবে একটি সূত্র বলছে, ১২ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পর সন্ত্রাসী মুছা ১৪ সেপ্টেম্বর তার লোকেশন ট্রাকিং করে সর্বশেষ মুছার অবস্থান দেখা যায় লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী সীমান্তে। সচেতন মহলের ধারণা বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে সন্ত্রাসী মুছা। সন্ত্রাসী মুছা নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার পুত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। নাম প্রকাশে অনেকেই বলেছেন হামলার ঘটনার সময় মুছার সাথে ছিল তার দীর্ঘদিনের সহযোগী পারভেজ। এদিকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মুছার সহযোগী আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মাদক স¤্রাট পারভেজকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ।
ছাত্রলীগের কর্মী দাবীদার পারভেজ ইয়াবাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত বলেও অনেকেই বলছেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পরপর পারভেজ গাঁ ঢাকা দিলেও বর্তমানে বীরদর্পে প্রকাশ্যে নবীগঞ্জ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পারভেজ চৌধুরী ফয়েজের কুটিঁর জোর কোথায় এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
সচেতন মহলের দাবী বিশেষ কোনো মহলের মদদে ও তদবিরের কারণেই পারভেজকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। সে সম্প্রতি তার ব্যবহৃত ফেসবুকে বিভিন্ন নেতার সাথে তোলা ছবি পোষ্ট করে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় নিয়ে না না অপকর্ম করে যাচ্ছে বীরদর্পে। এসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলছেন সচেতন মহল। পুলিশের এহেন ঘটনায় জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুছার সহযোগী পারভেজ গন্ধা গ্রামের আশিকুর রহমান চৌধুরীর পুত্র। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহান আহমেদ মুছা, পারভেজসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিভিন্ন গাড়ির লোকজনকে আটকিয়ে চাদাঁবাজি শুরু করে। খবর পেয়ে মুছা, পারভেজকে ধরতে নবীগঞ্জ শহরতলীর সালামতপুর এলাকায় অভিযান চালায় নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। অভিযানকালে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মুছা, পারভেজ ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এসআই ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে ১৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর জড়িতদের ধরতে অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ। তবে রহস্যজনক কারণে পারভেজকে মামলার এজহার নামীয় আসামী করেনি পুলিশ। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে মুছা, তার পরিবার এবং পারভেজসহ তার সহযোগিরা আত্মগোপন করে। পরে একে একে মুছার মা সামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমি আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২), তন্নী আক্তারকে (১৯),মুছার সহযোগী আহমদ হোসেন (২০), মুছার ভগ্নিপতি মামলার অন্যতম আসামি কামাল হোসেনকে (২৯), হেভেন হত্যা মামলার আসামী হাবিবুর রহমান কাশেমকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মুছা, পারভেজসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা থাকে অধরা। অতি সম্প্রতি মাদক স¤্রাট ও পুলিশের উপর হামলাকারী পারভেজ প্রকাশ্যে নবীগঞ্জে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের উপর হামলাকারী পারভেজকে গ্রেফতার করলে মুছা সঠিক সন্ধান পাওয়া যাবে বলে দাবী নবীগঞ্জ বাসীর। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, যে বা যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আশা করি শীঘ্রই মুছা ও তার অপর সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here