জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় এই প্রথমবারের মতো
মানববর্জ্য থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কম্পোস্ট সার তৈরি করতে যাচ্ছেন
কলারোয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ । মানববর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব জৈব সার
উৎপাদন, কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্য বয়ে আনবে। কলারোয়ায় জনসংখ্যা তো বাড়ছেই,
বাড়ছে পয়োবর্জ্যও। কিন্তু এই পয়োবর্জ্য থেকে উন্নতমানের সার উৎপাদন করে
একে মানবসম্পদে রূপান্ত্রিত করে কৃষিক্ষেত্রে এক বিপ্লব করে দেখাতে
যাচ্ছেন কলারোয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে এই মানববর্জ্যই এখন দেখাতে যাচ্ছে
কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ। সেখানে মানুষের বর্জ্য ও গৃহস্থলি বর্জ্য থেকে
সরাসরি তৈরি হচ্ছে সয়েল কন্ডিশনার নামে উন্নতমানের জৈব সারযুক্ত মাটি।
কলারোয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাড়ি থেকে কন্টেনারে
সংগ্রহ করা হবে ময়লা-আবর্জনা আর ভ্যাকু ট্যাগ মেশিনে সংগ্রহ করা হবে
ল্যাট্রিনের মানববর্জ্য। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসব বর্জ্য সংগ্রহ করবেন।
এতে করে কলারোয়া পৌরসভার আয় বাড়বে এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
মানববর্জ্য থেকে সৃষ্ট এই সার ব্যবহারে এলাকার কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাপক
সফলতা বয়ে আনবে বলে কৃষকরাদাবী করছেন। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলার কৃষি
কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া বলেন, এই কো-কম্পোজ জৈব সার কলারোয়া
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আমাদের দিলে আমার উপজেলার সকল সবজি-পুষ্টি বাগানে
ব্যবহার করবো। এটি একটি খুব ভাল কো-কম্পোজ জৈব সার। এ বিষয়ে কলারোয়া
পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, মানববর্জ্যকে এখন আর
আমরা সমস্যা মনে করছি না। বরং এটি এখন ফেলনা নয় বরং আমাদের অত্র এলাকার
জন্য একটি সম্পদও বটে। কারন এর সঠিক ব্যবহারে অত্র এলাকায় কৃষিতে কৃষক
যেমন উপকার পাবে ঠিক তেমনি আমরা কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবো।
মানব ও গৃহস্থালী এসব বর্জ্যকে পণ্যে পরিবর্তন করাসহ শহরকে পরিচ্ছন্ন
রাখার কাজ আমরা করে যাচ্ছি। মানববর্জ্য ও গৃহস্থালী বর্জ্যকে ভ্যাকুট্যাগ
ও ভ্যানে সংগ্রহ করে এই শোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। এটি খুব শিগ্রহী আমরা
উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন-অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন
ব্যবস্থা, যত্রতত্র গৃহস্থালী বর্জ্য জমে থাকায় তখন সম্বনিত স্যানিট্রেশন
ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কলারোয়া পৌরসভা
মানববর্জ্য ও গৃহস্থালী বর্জ্য পরিশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করতে
যাচ্ছেন। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, বর্জ্য
ব্যবস্থাপনার কো-কম্পোস্টিং পদ্ধতি অনেক ভালো একটা পদ্ধতি। দুষিত
পরিবেশের এই যুগে পরিবেশ, বায়ু দূষন রোধে-এই ব্যবস্থাপনা যুগান্তকারী
ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এইরকম ভাল একটা উদ্যোগ নেওয়ায়
কলারোয়া পৌরসভাকে ধন্যবাদ।